দুপুরবেলা বাড়ির বাইরেই খেলছিল তিন বছরের মেয়েটি। কিন্তু অনেকক্ষণ পেরিয়ে গেলেও সে বাড়িতে না ফেরায় দুশ্চিন্তা শুরু হয় পরিবারের সদস্যদের মাঝে। আশপাশে খোঁজ করতে করতে প্রতিবেশির ঘরে যেতেই আঁতকে ওঠেন শিশুটির মা-বাবা। সেখানে অবচেতন অবস্থায় পড়ে রয়েছে তাদের ছোট্ট মেয়ে। রক্তে ভেসে যাচ্ছে চারপাশ। মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে ওই প্রতিবেশিকে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন তারা।
Advertisement
পুলিশ বলছে, রোববার দুপুরে ভারতের দক্ষিণ-পশ্চিম দিল্লির দ্বারকার বিন্দাপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। শিশুটির পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ওই প্রতিবেশিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই ঘটনা নিয়ে সরব হয়েছেন দিল্লির নারী কমিশনের চেয়ারপারসন স্বাতী মালিওয়াল।
ঘটনাচক্রে, ছ’বছর আগে ঠিক একই দিনে ১৬ ডিসেম্বর ২০১২ সালে নির্ভয়া গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ফের আরেকবার ভারতের রাজধানীতে প্রায় একই অপরাধের অভিযোগ উঠল।
আরও পড়ুন : রেস্টুরেন্টে তরুণীর সঙ্গে সময় কাটানোর জেরে মন্ত্রীর পদত্যাগ
Advertisement
দ্বারকা পুলিশ বলছে, ওই শিশুটির উপর নির্যাতনে অভিযুক্ত ৪০ বছর বয়সী ব্যক্তি নিরাপত্তারক্ষীর কাজ করেন। যে ভবনে শিশুটি থাকত, তার একতলায় মধ্যবয়সী ওই প্রতিবেশি থাকেন। পুলিশের কাছে ওই শিশুটির পরিবার জানিয়েছে, রোববার দুপুর ১টার দিকে খেলতে যায় তাদের মেয়ে। কিন্তু, প্রায় আড়াই ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও বাড়ি ফেরেনি সে। সেই সময় এলাকায় খোঁজ শুরু করেন তারা।
এরপর ওই প্রতিবেশির ঘর থেকে অবচেতন অবস্থায় মেয়েকে উদ্ধার করেন। তিন বছরের ওই মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ শুনে ক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকার বাসিন্দারা। অভিযুক্তকে আটকের পর মারধর করেন তারা। তাদের হাত ছাড়িয়ে পালাতেও চেষ্টা করে ওই অভিযুক্ত। তবে সে চেষ্টা সফল হয়নি। পরে পুলিশে খবর দেয়া হয়।
আরও পড়ুন : নেতানিয়াহুর ছেলেকে ব্লক করেছে ফেসবুক
পুলিশে এসে অভিযুক্ত ধর্ষককে উত্তেজিত জনতার হাত থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে শিশুটিকেও। স্বাতী মালিওয়াল জানিয়েছেন, শিশুটির অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। আপাতত বিপদমুক্ত সে।
Advertisement
এই ঘটনার পর হাসপাতালে শিশুটিকে দেখতে যান দ্বারকার ডেপুটি পুলিশ সুপার অ্যান্টো অ্যালফোন্সো। স্বাতী নিজেও গিয়েছেন হাসপাতালে। পুলিশ বলছে, হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার পর অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে প্রোটেকশন অব চিলড্রেন ফ্রম সেক্সুয়াল অফেন্সেস আইনে মামলা হয়েছে। আনন্দবাজার।
এসআইএস/জেআইএম