বৃহস্পতিবার দিনভর বৃষ্টি এবং পাহাড়ি ঢলে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলা সদরসহ পার্শ্ববর্তী অন্তত ২০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে ফসলি জমি, কাচা ঘর বাড়ি এবং আসবাবপত্রের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। হঠাৎ পৌর এলাকা পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে। জানা যায়, টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা সদরের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, বালিকা বিদ্যালয়, পৌরসভার নাটাপাড়া, নোয়াপাড়া, বালুজুড়ি, নবগ্রাম, পাঁচরা, সোনাকাটিয়া, কিংশ্রীপুর, চাঁন্দিশকরা, রামরায়গ্রাম, গোমারবাড়ী, রামচন্দ্রপুর, চন্ডিপুর, চাটিতলা, পূর্ব ও পশ্চিম ধনমুড়িসহ ২০টি গ্রামের বাড়ী ঘর প্লাবিত হয়েছে। বৃষ্টিতে ঘরের ভিতরে পানি ঢুকে যাওয়ার কারণে অনেকের ফ্রিজ, আসবাবপত্রসহ মূল্যবান জিনিসপত্র নষ্ট হয়ে গেছে। পানিতে ভেসে গেছে এসব গ্রামের অসংখ্য পুকুরের লাখ লাখ টাকার মাছ। উপজেলা কমপ্লেক্সের ভিতরে ও রাস্তায় কোমর পানি থাকায় চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও তাদের স্বজনদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। পৌর এলাকার ড্রেনেজ ব্যবস্থা নাজুক হওয়ার কারণে হঠাৎ এ জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে বলে স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ। তবে পৌরসভার কাউন্সিলর কাজী বাবুল জানান, মহাসড়কের চারলেনের জন্য সরু কালর্ভাট নির্মাণের কারণে পানি প্রবাহে বাধা সৃষ্টি হওয়ায় হঠাৎ এ জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। পৌর মেয়র মো. মিজানুর রহমান জানান, চৌদ্দগ্রাম পৌরসভার ২৩টি গ্রামের বেশির ভাগ এলাকায় প্লাবিত হয়েছে, পানির স্রোতে বিভিন্ন রাস্তা ভেঙ্গে গেছে। এ বিষয়ে পৌর মেয়র মিজানুর রহমান জানান, খবর পেয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও রেলপথ মন্ত্রী মুজিবুল হক মুজিব দুর্গতদের তালিকা প্রনয়নসহ প্রয়োজনীয় সকল সহায়তার জন্য উপজেলা প্রশাসন ও দলীয় নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন। মো.কামাল উদ্দিন/এসকেডি/পিআর
Advertisement