জাতীয়

বিজয়ানন্দে মুখর শহীদ মিনার

১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের দিন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আনন্দে মেতে উঠেছে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। দুপুরের পর থেকেই মানুষের ঢল নামে শহীদ মিনারে। অনেকেই সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাংস্কৃতিক উপস্থাপনা উপভোগ করছেন। শহীদ মিনার চত্বরে বসে গল্পে মেতে উঠেছেন অনেকে। কেউবা ছবি তুলছেন।

Advertisement

জাতীয় পতাকার রঙে সঙ্গ মিলিয়ে অনেক নারী পরেছেন লাল-সবুজ শাড়ি। পুরুষরা পরেছেন একই রঙের পাঞ্জাবি। নারীদের কারও কারও মাথায় ফুলের টায়রা। অভিভাবকদের সঙ্গে শহীদ মিনারে এসেছে শিশুরাও। মানুষের আনাগোনায় তৎপর রয়েছে হকাররা। এ ছাড়া রং ও তুলি নিয়ে এক শ্রেণির শিল্পীদেরও তৎপর দেখা গেছে। তারা শিশু-তরুণ-তরুণীদের মুখে ও শরীরে টাকার বিনিময়ে পতাকা ও শহীদ মিনার এঁকে দিচ্ছেন।

সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট শহীদ মিনারে ১৩ ডিসেম্বর থেকে চার দিনব্যাপী ‘বিজয় উৎসব-২০১৮’ এর আয়োজন করেছে। আজ রোববারই এর শেষদিন। শহীদ মিনারের বেদীতে বিকেল ৪টা থেকে শুরু হয় সংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। আবৃত্তি, নৃত্য, গান, নাটিকাসহ বিভিন্ন উপস্থাপনা চলবে রাত ৮টা পর্যন্ত।

শহীদ মিনার এলাকায় মোবাইলফোনে সেলফি তুলতে মেতেছেন কেউ কেউ। রায়সাহেব বাজার থেকে আসা তিন বন্ধু সেলফি তুলছিলেন। তাদের মধ্যে একজন রবিউল ইসলাম বলেন, ‘আমরা গার্মেন্টেসে চাকরি করি। আইজ ছুটির দিন, তাই শহীদ মিনার দেখতে আইছি।’

Advertisement

ওয়ারী থেকে ছেলেকে নিয়ে বেড়াতে এসেছেন ব্যাংক কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির। তিনি বলেন, ‘একুশে ফেব্রুয়ারির দিন এত মানুষের ভিড় থাকে যে ইচ্ছে থাকলেও আসি না। আজ ছুটির দিন তাই চলে এসেছি। তবে খুব ধুলা আর অপরিষ্কার।’

বিছানো কার্পেটে বসে ছোট্ট মেয়েকে নিয়ে সাংস্কৃতিক উপস্থাপনা দেখছিলেন শাহনাজ বেগম। তিনি সেগুনবাগিচা থেকে এসেছেন। শাহনাজ বেগম বলেন, ‘খানিকটা ঘোরার জন্য বের হয়েছিলাম। ঘুরতে ঘুরতে এ দিকটায় চলে আসলাম। সাংস্কৃতিক উপস্থাপনা ভালোই লাগছে।’

শহীদ মিনারের একেবারে পশ্চিম প্রান্তে ঘাসের মধ্যে বসে আড্ডা দিচ্ছিলেন কলেজ পড়ুয়া তিন বন্ধু আতিক, রনজু ও শহীদ। আতিক বলেন, ‘আজ বিজয় দিবস, এইদিন বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল, ভাবতেই ভালো লাগে। শহীদ মিনারও আমাদের গৌরবের জায়গা। আজ ছুটির দিন, তাই চলে এলাম, ভালোই লাগছে।’

আরএমএম/এসআর/এমএস

Advertisement