বাংলাদেশ বিমান ফ্লাইং সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন অব কেবিন ক্রু (বিবিএফএসএসিসি) নির্বাচন ২০১৮-তে দস্তগীর-ইউসুফ প্যানেল নিরঙ্কুশ জয়ী হয়েছে। চার দিনব্যাপী ভোটগ্রহণের পর শনিবার (১৫ ডিসেম্বর) বিকেলে নির্বাচন কমিশন এই ঘোষণা দেন। নির্বাচনে বিপুলভোটের ব্যবধানে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন সাবেক সাধারণ সম্পাদক দস্তগীর। সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন তারই প্যানেলের প্রার্থী ইউসুফ।
Advertisement
সভাপতি পদে দস্তগীর পেয়েছেন ১৯৯ ভোট। তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী তাইমুর পেয়েছেন ৮২ ভোট। সাধারণ সম্পাদক পদে ইউসুফ পেয়েছেন ১৮১ ভোট। প্রতিদ্বন্দ্বী ওয়াসিক পেয়েছেন ১০১ ভোট।
দস্তগীর-ইউসুফ প্যানেলের নির্বাচিত অপর সদস্যরা হলেন জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি নিশি। তিনি পেয়েছেন ১৫১ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আবীর পেয়েছেন ১২৮ ভোট।
সহ-সভাপতি-২ পদে নির্বাচিত হয়েছেন তৌফিক। তিনি পেয়েছেন ১৭৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নীপা পেয়েছেন ১০৮ ভোট।
Advertisement
যুগ্ম সম্পাদক-১ পদে নর্বাচিত হয়েছেন আনোয়ার। তিনি পেয়েছেন ১৫৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ডিউক পেয়েছেন ১২৪ ভোট।
যুগ্ম সম্পাদক-২ পদে নির্বাচিত হয়েছেন লিপু। তিনি পেয়েছেন ১৪১ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রেফাজ পেয়েছেন ১০৯ ভোট।
এই পদে মোট প্রার্থী ছিলেন ৩ জন। তৃতীয় প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বাবু পেয়েছেন মাত্র ২৯ ভোট। সাংগঠনিক সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন দস্তগীর-ইউসুফ প্যানেলের আরেক জনপ্রিয় প্রার্থী তপু। তিনি পেয়েছেন ১৫৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী লোটাস পেয়েছেন ১২১ ভোট।
কোষাধ্যক্ষ পদে নির্বাচিত হয়েছেন প্যানেলের নূর নবী। তিনি পেয়েছেন ১৮৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী খাজা পেয়েছেন মাত্র ৯৪ ভোট।
Advertisement
কার্যনির্বাহী সদস্য পদে নির্বাচিত হয়েছেন লীমা। তিনি পেয়েছেন ১৬৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হাসনা পেয়েছেন ১১০ ভোট।
বিপুল ভোটে জয়ের পর নবনির্বাচিত সভাপতি গোলাম দস্তগীর অ্যাসোসিয়েশনের সকল ভোটারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমি সব ভোটার এবং নির্বাচনে অংশ নেয়া সব প্রার্থীদের কাছে কৃতজ্ঞ। যারা নির্বাচনে হেরেছেন তারাও আমাদের প্রিয় সহকর্মী।’ তিনি বলেন, ‘একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন প্রমাণ করে আমরা সকলেই অ্যাসোসিয়েশনের উন্নয়ন এবং বিমানের ফ্লাইট সার্ভিসের মানোন্নয়নে বদ্ধপরিকর।’
উল্লেখ্য, নির্বাচনে ২৮৯ ভোটারের মধ্যে মোট ২৮২ জন ভোটার ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। বিশেষ কারণে ৭ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেননি। দুটি প্যানেলের পুলিং এজেন্ট ও লেবার ডাইরেক্টরের প্রতিনিধির উপস্থিতিতে ফলাফল ঘোষণা করা হয়। নির্বাচনে প্রধান নিবাচন কমিশনার (সিইসি) হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন সুলতানা ইসলাম অ্যানী। সুষ্ঠু, সুন্দর ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন উপহার দেয়ার জন্যে তিনি অ্যাসোসিয়েশানের সব সদস্যদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
আরএম/এসআর/এমএস