জাতীয়

বিজয়ের দিনে চিকিৎসক দম্পতির আলোর কথা

একেবারে কাঁচা মাটির গন্ধ শুঁকে বেড়ে ওঠা। প্রান্তিক জনজীবনের হাজারো গল্পের সাক্ষী হয়ে জীবনের আলো ফলিয়েছেন। আর সেই আলোয় আলোকিত করছেন নিজের গ্রামকেও। মহান বিজয় দিবসের চেতনাকে ব্রত জেনে প্রতিবছর অসহায় মানুষদের মাঝে চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন ঢাকার অদূরে কেরানীগঞ্জের চিকিৎসক দম্পতি।

Advertisement

মানবিক মুক্তি এবং মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে চেতনাদীপ্ত সমাজসেবকরা নিরন্তর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। বিভিন্ন সংগঠনের পাশাপাশি ব্যক্তি মানুষেরাও পাশে দাঁড়াচ্ছেন অসহায় মানুষদের। এমনিভাবেই পাশে দাঁড়ানোর নজির স্থাপন করেছেন ঢাকার অদূরে সালাম-সহেমননেসা ফাউন্ডেশন।

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে প্রায় এক দশক ধরে মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছে এই ফাউন্ডেশন। প্রতি বছরের ন্যায় এবারও হাজারো অসহায়-দরিদ্র মানুষের পদভারে মুখরিত হয়ে উঠেছিল কেরানীগঞ্জের ঘাটারচর খেলারমাঠ প্রাঙ্গণ। অসহায় মানুষেরা এসেছিলেন বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা নিতে।

চিকিৎসা সেবা প্রদান করেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের সাবেক শিক্ষক অধ্যাপক অর্থোপেডিক সার্জন ডা. সালেহউদ্দিন আহমেদ এবং স্ত্রী (একই মেডিকেল কলেজের শিক্ষক) ডা. কামরুননেসা রুনা। ২০০৭ সাল থেকে ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে এই ডাক্তার দম্পতিই বিনামূল্যে চিকিৎসা প্রদান করে আসছেন।

Advertisement

চিকিৎসার পাশাপাশি গরিব-অসহায় শিক্ষার্থীদের মাঝে উপবৃত্তির ব্যবস্থাও করছেন তারা। কন্যা দায়গ্রস্ত অসহায় পরিবারকেও সহযোগিতা করে আসছেন নানাভাবে। আজও অসংখ্য মানুষের পাশে আর্থিক সাহায্য প্রদান করেন এই দম্পতি।

সালাম-সহেমননেসা ফাউন্ডেশনের এই জনহিতকর কার্যক্রমে সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছে প্রাইম ব্যাংক চক্ষু হাসপাতাল, শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল, বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় চক্ষু ইনস্টিটিউট এবং চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।

সালাম-সহেমননেসা ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ডা. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, বিজয় দিবসের চেতনা হচ্ছে মানুষের পাশে দাঁড়ানো। সে চেতনাকে ধারণ করেই মানুষের কাছে আসার আমাদের এই প্রয়াস। আমাদের সংগঠনের কার্যক্রম সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক। মূলত এলাকার মানুষের কষ্ট লাঘবে যদি আমাদের এই সহায়তা সামান্য কাজে আসে, তবেই এই চেষ্টার সার্থকতা।

ডা. কামরুননেসা রুনা বলেন, সমাজে সমতা বিধান প্রতিষ্ঠাই হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা। আমরা সে চেতনা থেকে অনেক দূরে চলে গেছি। যদি সবাই সবার পাশে দাঁড়াতে পারি, তাহলে এই বৈষম্য অবশ্য দূর হবে।

Advertisement

অনুষ্ঠানে অংশ নিতে এসেছিলেন শাকির দেওয়ান। বলেন, সালাম-সহেমননেসা ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। আমরা এমন সহায়তা কার্যক্রমে অনুপ্রাণিত। এলাকার অসংখ্য অসহায় মানুষ উপকৃত হচ্ছেন বলে মনে করি।

এএসএস/এমআরএম/এমএস