যে ক’জন শিল্পী আধুনিক বাংলা গানকে সমৃদ্ধ করে গেছেন, তাদের অন্যতম মাহমুদুন্নবী। আজ ১৬ ডিসেম্বর জন্মগ্রহণ করেন কিংবদন্তি এই শিল্পী।
Advertisement
বাবার জন্মদিনে তার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে একটি দেশের গান নিয়ে হাজির হলেন ফাহমিদা নবী ও পঞ্চম।
সংগীত ব্যক্তিত্ব মাহমুদুন্নবীর চার সন্তান। তারা হলেন সামিনা চৌধুরী, ফাহমিদা নবী, পঞ্চম ও অন্তরা। তাদের মধ্যে সামিনা, ফাহমিদা ও পঞ্চম স্বতন্ত্র অবস্থান তৈরি করেছেন সংগীতাঙ্গনে।
ফাহমিদা নবী বর্তমানে নিজের সুরে একটি পূর্ণ অ্যালবামের কাজ এগিয়ে নিচ্ছেন। সেই অ্যালবামের জন্য ক’দিন আগে তার সুরে গান গেয়েছেন বোন সামিনা চৌধুরী। এবার গাইলেন ভাই পঞ্চম। সম্প্রতি এ গানটির রেকর্ডিং সম্পন্ন হয়েছে।
Advertisement
এটি একটি দেশের গান। মাহমুদুন্নবীর জন্ম ১৬ ডিসেম্বর এবং মৃত্যু ২০শে ডিসেম্বর। তাই ডিসেম্বর মাসেই বাবাকে উৎসর্গ করেই দেশের এ গানটি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ফাহমিদা নবী।
তিনি বলেন, ‘আজ বিজয় দিবস। বাংলাদেশি হিসেবে বিরাট আনন্দের একটি দিন। পাশাপাশি আজ আমার বাবারও জন্মদিন। সামনেই আসছে তার প্রয়াণ দিবস। তাই ভাবলাম বাবার জন্য কিছু করি। তাই আমার সুরে আব্বাকে উৎসর্গ করছি তারই পুত্র পঞ্চমের কণ্ঠে দেশের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের মাধ্যমে।’
মাহমুদুন্নবীর জন্ম ১৯৩৬ সালের ১৬ ডিসেম্বর ভারতের বর্ধমানে। ষাটের দশকে তিনি আধুনিক বাংলা গানে এক ভিন্ন মাত্রা যোগ করেন। অদ্ভূত মোহনীয় সুর আর স্পষ্ট উচ্চারণে শ্রোতাদের মন্ত্রমুগ্ধ করে রাখতেন তিনি। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত তিনি সুরের ভূবনেই বিচরণ করেছিলেন।
‘সুরের ভূবনে আমি আজো পথচারী’ শিরোণামে অসম্ভব জনপ্রিয় একটি গানও রয়েছে তার। ৭০ এর দশকে ‘হারজিৎ’ ছবির এই গান আধুনিক বাংলা গানে বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল। এছাড়া ‘গানেরই খাতায় স্বরলিপি লিখে’, ‘আমি সাত সাগর পাড়ি দিয়ে’, ‘আয়নাতে ওই মুখ দেখবে যখন’, ‘তুমি কখন এসে দাঁড়িয়ে আছো আমার অজান্তে’র মত বহু কালজয়ী গান তাকে স্মরণীয় করে রেখেছে এই দেশের সংগীতাঙ্গণে। ১৯৭৭ সালে তিনি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন।
Advertisement
১৯৯০ সালের ২০ ডিসেম্বর তিনি পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেন। চোখের দেখায় অদেখা হলেও মাহমুদুন্নবীর নাম থেকে গেছে, থেকে যাবে বাংলার গানে গানে।
এলএ/জেআইএম