জাতীয়

রাজধানীতে বিজয়ের বর্ণিল উদযাপন

আজ পরাধীনতার শৃঙ্খল মুক্তির দিন, বিজয়ের ৪৭ বছর পূর্তি। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে স্বাধীন হয় লাল-সবুজের দেশ, আমাদের প্রিয় বাংলাদেশ।

Advertisement

তাই বর্ণিল আয়োজনের মধ্য দিয়ে বিজয়ের দিনটিকে উদযাপন করছে রাজধানীবাসী। কাগজের জাতীয় পতাকায় সেজেছে ঘর-বাড়ি, পথঘাট। মর্ম স্পর্শ করে মাইকে দেশাত্ববোধক গান বাজছে অলিগলি থেকে শুরু করে রাজপথে। বাজছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ।

এ ছাড়া সকল সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে। আগেই বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ভবন ও স্থাপনা আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হয়েছে।

রোববার সকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে। রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর এলাকার মাতুয়াইলের কবরস্থান রোড ধরে খানবাড়ী মোড়ের কাছাকাছি যেতেই স্পিকারে গান ভেসে আসছে- ‘মোরা একটি ফুলকে বাঁচাবো বলে যুদ্ধ করি...।’ রাস্তার পাশে খানিকটা ওপরে রশিতে কাগজের পতাকা দিয়ে সাজানো হয়েছে। এর নিচে বড় দুটি স্পিকারে বাজছে দেশের গান।

Advertisement

রায়েরবাগ দোতলা মসজিদের দিকে যেতে শোনা গেল বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ। এ ছাড়া শনির আখড়া বিভিন্ন অলিগলিতে গান বাজতে শোনা গেছে। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রায়েরবাগ বাসস্ট্যান্ডের উত্তর পাশে ওভারপাসের নিচে স্পিকারে বাজছিল- ‘যদি রাহ পোহালে শোনা যেত বঙ্গবন্ধু মনে নাই...।’

মতিঝিলের শাপলা চত্বর সেজেছে পতাকা ও আলোকসজ্জায়। বাংলাদেশ ব্যাংকসহ এই এলাকার মনোমুগ্ধকর আলোকসজ্জা দেখতে রাতে অনেকেই এখানে আসবেন।

গুলিস্তানে মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারের টোল প্লাজা থেকে একটু সামনে গেলেই শোনা যাচ্ছে বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে লাগানো মাইক থেকে ভেসে আসা বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ।

পথে পথে বিক্রি হচ্ছে পতাকা, বিজয় দিবসের ব্যান্ড, পতাকা রঙের সঙ্গে মেলানো টুপি, গেঞ্জি।

Advertisement

মহান বিজয় দিবস পালনের জন্য জাতীয় পর্যায়ে বিভিন্ন কর্মসূচি নেয়া হয়েছে। সকালে ঢাকায় শেরেবাংলা নগরে জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের সূচনা হয়। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

নিরাপত্তার কড়াকড়ির জন্য এবার তেজগাঁও পুরাতন বিমানবন্দরের জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে সশস্ত্র বাহিনীর কুচকাওয়াজসহ অন্যান্য অনুষ্ঠান হচ্ছে না।

বিজয় দিবস সরকারি ছুটির দিন। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে এবং বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসসমূহেও দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।

আরএমএম/এমআরএম/জেআইএম