আন্তর্জাতিক

প্রধানমন্ত্রিত্ব ফিরে পেলেন বিক্রমাসিংহে

শ্রীলঙ্কার পদচ্যুত প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে পুনরায় ক্ষমতা ফিরে পেয়েছেন। দেশটিতে টানা ৫১ দিনের রাজনৈতিক অচলাবস্থার পর রোববার তিনি স্বপদে বহাল হন। এদিকে আদালত-সংসদ-বিরোধীদল এই ত্রিমুখী চাপের মুখে বাধ্য হয়ে শনিবার পদত্যাগ করেন বিতর্কিত প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে।

Advertisement

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, রোববার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে উপস্থিত হন বিক্রমাসিংহে। ক্ষমতাসীন দল দল ইউনাইটেড ন্যাশনাল পার্টির (ইউএনপি) সাংসদ হার্শা ডি সিলভা টুইটারে বিক্রমাসিংহের পুনরায় ক্ষমতা গ্রহণের ছবি পোস্ট করেন।

বিক্রমাসিংহে পুনরায় ক্ষমতা গ্রহণের মাধ্যমে বিপদে পড়লেন শ্রীলঙ্কান প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালা সিরিসেনা। কেননা গত ২৬ অক্টোবর তিনি প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে রনিল বিক্রমাসিংহকে বরখাস্ত করে তার মন্ত্রিসভা বিলুপ্ত ঘোষণা করেন। সিরিসেনা ওই দিন রাতেই সাবেক প্রেসিডেন্ট মাহিন্দা রাজাপাকসেকে নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেন। এরপরই রাজনৈতিক সংকট শুরু হয় দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কায়।

পদচ্যুত প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে প্রেসিডেন্টের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে ক্ষমতা ছেড়ে না দেয়ার ঘোষণা দেন। সিদ্ধান্ত বিরোধিতার মুখে পড়ার পর পার্লামেন্ট ভেঙে দেন প্রেসিডেন্ট সিরিসেনা। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে দেশটিতে প্রকৃত অর্থে কোনো সরকার ছিল না।

Advertisement

পদচ্যুত প্রধানমন্ত্রী বিক্রমাসিংহের দল ইউনাইটেড ন্যাশনাল পার্টির (ইউএনপি) পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন থাকায় চাপের মুখে পড়েন সিরিসেনা ও রাজাপাকসে। পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে ব্যর্থ হওয়ায় ক্ষমতা নড়বড়ে হয়ে পড়ে রাজাপাকসের। এরপর বিক্রমাসিংহের ইউনাইটেড ন্যাশনাল পার্টিসহ আরও দুটি দল প্রেসিডেন্টের এমন সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করেন।

গত বৃহস্পতিবার দেশটির সুপ্রিম কোর্ট সিরিসেনার পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত বাতিল ও নির্বাচন স্থগিতের আদেশ দেন। সর্বোচ্চ আদালতের দেয়া এমন রায়ের পর নিরুপায় হয়ে শনিবার পদত্যাগ করেন রাজাপাকসে। রাজাপাকসের পদত্যাগের একদিন পরেই পুনরায় ক্ষমতায় বসলেন বিক্রমাসিংহে।

এসএ/জেআইএম

Advertisement