চাঁদপুর-২ আসনে বিএনপি প্রার্থীর গণসংযোগকালে দফায় দফায় হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছেন ১০ জন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোঁড়ে। শনিবার দুপুরে মতলব উত্তর উপজেলার লুধুয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
Advertisement
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চাঁদপুর-২ আসনের বিএনপি প্রার্থী ড. জালাল উদ্দিন নির্বাচনী প্রচারণা করতে তার নিজ এলাকায় যান। দুপুর ১টার দিকে তিনি তার বাবা-মায়ের কবর জিয়ারত করতে যাওয়ার সময় আওয়ামী লীগ-পুলিশ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মাঝে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে একটি দল বিএনপি নেতাকর্মীদের উপর হামলা করে বিএনপি প্রার্থীর গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এ সময় বিএনপির কয়েকজন কর্মী আহত হন।
এক পর্যায়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরবর্তীতে দুপুর ৩টার দিকে বিপুল সংখ্যক পুলিশের উপস্থিতিতে বিএনপি প্রার্থী তার বাড়ি থেকে বের হলেই আবারও হামলা করা হয়। এ সময় প্রার্থী ও তার কয়েকজন নেতাকর্মীকে বেদম মারধর করা হয়।
মতলব উত্তর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কবির হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, এখন মাঠে আছি। বিস্তারিত কিছু বলতে পারবো না। এ পর্যন্ত ৯ জনকে আটক করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
Advertisement
অন্যদিকে, হামলার ঘটনায় বিএনপির প্রার্থী ড. জালাল উদ্দিন সংবাদ সম্মেলন করেছেন। বিকেল সাড়ে ৪টায় জেলা বিএনপির আহ্বায়কের বাসভবন মুনিরা ভবনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
এতে মতলব দক্ষিণ পৌরসভার সাবেক মেয়র ও চাঁদপুর-২ আসনের (মতলব দক্ষিণ) ধানের শীষের প্রধান সমন্বয়কারী এনামুল হক বাদল বলেন, আমাদের প্রার্থী ড. জালাল উদ্দিন আজ তার নিজ বাড়িতে বাবা-মায়ের কবর জিয়ারতের মধ্য দিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করার কথা ছিল। সেই কথা মতো তিনি ধানের শীষের প্রচারণা ও গণসংযোগে সুলতানাবাদ ইউনিয়নের লুধুয়া গ্রামে (নিজ বাড়ি) আসেন। সেখানে পূর্ব থেকেই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও বিপুল সংখক পুলিশ উপস্থিত ছিল। ড. জালাল উদ্দিন তার বাবা মায়ের কবর জিয়ারত করে ফেরার সময় পুলিশের উপস্থিতিতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তার উপর হামলা করে।
জেলা বিএপির যুগ্ম আহ্বায়ক মুনির চৌধুরী ও আক্তার হোসেন মাঝি বলেন, শুধুমাত্র মতলবেই নয়, চাঁদপুরের ৫টি আসনেই আমাদের নেতাকর্মীদের উপর হামলা করা হচ্ছে। আর পুলিশ মিথ্যা মামলা দিয়ে নেতাকর্মীদের গ্রেফতার ও হয়রানি করছে। বিষয়টি আমরা পুলিশ সুপার ও রিটার্নিং অফিসারের কাছে একাধিকবার লিখিত অভিযোগ আকারে জানিয়েছি। কিন্তু তারা কোনো ব্যবস্থা বা সুরাহা করেনি।
এসময় তাৎক্ষণিক মুঠোফোনে ড. জালাল উদ্দিন সাংবাদিকদের জানান, আমাকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। কিছুক্ষণ পর পর আমার উপর হামলা করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে আমি এবং আমার নেতাকর্মী ও সমর্থকরা জীবন নিয়ে সঙ্কায় রয়েছে।
Advertisement
ইকরাম চৌধুরী/এমএএস/জেআইএম