নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী ও আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি এসএম আকরামের কঠোর সমালোচনা করেছেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান।
Advertisement
তিনি বলেছেন, বিএনপি ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়ন না করে এসএম আকরামকে মনোনয়ন দিয়েছে। বিএনপি নেতারা কার পেছনে থাকবেন? যার পেছনে থাকবেন তাকে তো নির্বাচনের পরদিনই আর পাইবেন না। নির্বাচন পরদিন উনি উত্তরা ক্লাবে মদ খাইতে চলে যাবেন।
শুক্রবার বিকেলে বন্দর থানা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে নারায়ণগঞ্জের বন্দরের সমরক্ষেত্রে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে মহাজোটের প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য একেএম সেলিম ওসমানের নির্বাচনী সভায় শামীম ওসমান এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, আকরাম সাহেব আপনাকে বলছি এ জেলাতে শুধু আপনি একা জন্ম নেননি। আরও অনেকে জন্ম নিয়েছেন। ভিমরুলের চাকে খোঁচা দিলে টিকতে পারবেন না। আমাদের গায়ে টোকা দেবেন না। ভিমরুল বেরিয়ে আসলে আপনি টিকে থাকতে পারবেন না। মুরুব্বি আছেন, মুরুব্বি থাকেন। আমি পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, আমি সেলিম ওসমান, নাসিম ওসমান, হাই সাহেব না আমি রাজপথ থেকে উঠে আসা কর্মী।
Advertisement
শামীম ওসমান বলেন, আজকে যদি বিএনপির সাবেক এমপি কালাম সাহেব মনোনয়ন পাইতো মনে করতাম একজন রাজনৈতিক লোক মনোনয়ন পাইছে। কিন্তু আমার লজ্জা লাগে বিএনপির মতো একটা দল কালাম সাহেব, তৈমুর আলম, শাহ্ আলম, গিয়াসউদ্দিনকে লাথি মেরে ছুড়ে ফেলে দিয়েছে। নতুন আইছে আরেকজন সে হলেন এসএম আকরাম। আমি মাথাই ঘামাই নাই কারণ আমি জানি আল্লাহর হুকুম হলে বিপুল ভোটে জয়লাভ করবেন সেলিম ওসমান। কিন্তু উনি প্রতিনিয়ত সেলিম ভাই ও আমাকে উদ্দেশ্য করে কোনো না কোনো কথা বলছেন।
তিনি আরও বলেন, আমার অবাক লাগে গিয়াসউদ্দিন সাহেবের মতো লোককে বিএনপি লাত্থি দিয়ে ছুড়ে ফেলে দিয়েছে। শাহ্ আলমের মতো লোককে মনোনয়ন দেয়ার পরও ওই মনোনয়ন বদলে একজন জঙ্গিকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে আমার আসনে। যাকে আমি নিজেই খুঁইজা পাই নাই, আমার এলাকার মানুষ কি খুঁইজা পাইবো? জঙ্গি হামলার পরিকল্পনার কারণে আজকে পাগলায় ৩৯ জন, বন্দর এলাকা থেকে ১০/২০ জন এবং নারায়ণগঞ্জের অন্য এলাকা থেকে ১৯ জনকে ধরা হয়েছে। বিএনপিতে কেবল খারাপ লোক নেই আমাদের দলেও আছে। এই দলের অনেকে আছে যাদের সঙ্গে জামায়াতের কানেকশন আছে। সভায় নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে মহাজোটের প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য একেএম সেলিম ওসমান, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য হোসনে আরা বেগম বাবলী, নারায়ণগঞ্জ আদালতের পিপি ও আওয়ামীলীগ নেতা ওয়াজেদ আলী খোকন, আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদের সদস্য অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান দিপু, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই, সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহীদ মো. বাদল, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি চন্দন শীল, গোপিনাথ দাস, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খোকন সাহা, যুগ্ম-সম্পাদক শাহ্ নিজাম, সাংগঠনিক সম্পাদক জাকিরুল আলম হেলাল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
শাহাদাত হোসেন/আরএআর/এমএস
Advertisement