সম্প্রতি প্রকাশিত গবেষণায় এক গবেষক দাবি করেছেন নারীরা স্বাভাবিক সম্পর্কের চেয়ে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে বেশি সুখী হয়। অ্যাশলে ম্যাডিসন নামের একটি কানাডিয়ান অনলাইন ডেটিং ও সোশ্যাল নেটওয়াকিং সার্ভিসের মাধ্যমে ওই গবেষক বিবাহিত কিংবা সম্পর্ক আছে এমন কিছু নারীদের নিয়ে গবেষণাটি করার পর এ তথ্য জানান।
Advertisement
গবেষণাটি করেন যুক্তরাষ্ট্রের মিসৌরি স্টেট ইউনিভার্সিটির সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক অ্যালিসিয়া ওয়াকার। যেসব নারীর বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক আছে তাদের আচরণ বিশ্লেষণের মাধ্যমে তিনি গবেষণাটি করেন। অ্যালিসিয়া ওয়াকার নিজেও একজন নারী।
তিনি অ্যাশলে ম্যাডিসন নামের ওই সামাজিক মাধ্যমটির এক হাজার ব্যবহারকারীকে জরিপ সংক্রান্ত প্রশ্ন সংবলিত একটি লিংক পাঠান। সম্প্রতি দেশটির ‘জার্নাল অব সেক্সুয়ালিটি’ নামের একটি জার্নালে তার ওই গবেষণা নিবন্ধটি প্রকাশিত হয়েছে।
অ্যালিসিয়া নামের ওই গবেষক নারীদের দেয়া উত্তর বিশ্লেষণ করে জানতে পেরেছেন, যেসব নারীর বিবাবহির্ভূত সম্পর্ক আছে তাদের জীবন অন্যদের চেয়ে অনেক সুখের এবং তারা তাদের জীবন নিয়ে সন্তুষ্ট। গবেষকের ভাষ্যমতে, যেসব নারী তার স্বামী বা সঙ্গীর সাথে প্রতারণা করে অন্য পুরুষের সঙ্গে সপ্তাহে কমপক্ষে দুইবার শারিরীক সম্পর্ক করেন তারা অনেক সুখী।
Advertisement
গবেষণা নিবন্ধ অনুযায়ী, বিবাহিত জীবনে খুব বেশি সুখী না হওয়া একজন নারীকে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক অনেক বেশি সুখী করতে পারে। তাছাড়া তাদের বিবাবহির্ভূত সম্পর্ক যদি সর্ম্পূণ শারীরিক হয় তাহলে তাদের মধ্যে সন্তুষ্টি ও সুখের পরিমাণ তুলনামূলক বৃদ্ধি পায়।
গবেষকের পাঠানো ওই প্রশ্নমালায় নারীরা তাদের প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছেন, তারা নিজেরাই তাদের সীমানা ও নীতি নির্ধারণ করেন। নিজেদের প্রয়োজনীয় আকাঙ্খার নিরীখে তারা তাদের সঙ্গী নির্বাচন করেন বলেও জানিয়েছেন। এক্ষেত্রে তাদের চাহিদা ও আকাঙ্খাকে যারা পূরণ করতে পারবেন কেবল তাদেরকেই অগ্রাধিকার দেন তারা।
বিশেষজ্ঞদের মতে, বিবাহিত মানুষ নির্দিষ্ট কিছু চাহিদার কারণে অনলাইনে তাদের সঙ্গীদের ঘৃণা সহকারে প্রত্যাখান করেন। কারণ তার প্রথম সঙ্গীটি ওই চাহিদাগুলো পূরণে ব্যর্থ হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায়, এমন সম্পর্কগুলোর নেপথ্যে থাকে মূলত শারীরিক সম্পর্কের ব্যাপারটি।
এসএ/এমএস
Advertisement