সিলেটে সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ আর বাংলাদেশের 'অঘোষিত ফাইনাল' যুদ্ধ। যে দল জিতবে, তারাই হাতে তুলবে সিরিজের ট্রফি। এমন গুরুত্বপূর্ণ লড়াইয়ে ব্যাটিংটা ভালো হয়নি ক্যারিবীয়দের। টাইগার বোলারদের তোপে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৯৮ রানে থেমেছে সফরকারিদের ইনিংস।
Advertisement
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে মেহেদী হাসান মিরাজের ঘূর্ণি ফাঁদে পড়ে ক্যারিবীয়রা। তারা প্রথম পাঁচ উইকেট হারিয়েছে একশরও আগে, দলের খাতায় ৯৯ রান উঠতেই। এর মধ্যে ৪টিই শিকার মিরাজের।
ক্যারিবীয় ইনিংসের ২৬ ওভারের মধ্যেই মিরাজের ১০ ওভারের কোটা পূরণ করে নিয়েছেন মাশরাফি। এর মধ্যে প্রথম স্পেলে টানা ৮ ওভার বল করেন মিরাজ। সবমিলিয়ে ১০ ওভার শেষে ২৯ রান খরচায় এই অফস্পিনার নিয়েছেন ৪টি উইকেট।
ইনিংসের ৪র্থ ওভারে ওপেনার চন্দরপল হেমরাজকে (৯) দিয়ে শুরু। এরপর একে একে ড্যারেন ব্রাভো (১০), সিমরন হেটমায়ার (০), রভম্যান পাওয়েলকে (১) তুলে নেন মিরাজ। মাঝে মারলন স্যামুয়েলসের উইকেটটি নিয়েছেন সাইফউদ্দীন। ১৯ করে স্যামুয়েলস হন বোল্ড।
Advertisement
ষষ্ঠ উইকেটে রস্টন চেজকে নিয়ে একটু প্রতিরোধ গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন শাই হোপ। তাদের ৩৪ রানের জুটিটি ভাঙেন সাকিব আল হাসান। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারকে লং অফে তুলে মারতে গিয়ে বাউন্ডারির কাছে সৌম্য সরকারের ক্যাচ হন ৮ রান করা চেজ। এরপর সাকিবের দ্বিতীয় শিকার ফ্যাবিয়েন অ্যালেন। ৬ রান করে মোহাম্মদ মিঠুনের দুর্দান্ত ক্যাচ হন তিনি।
১৪৩ রানের মধ্যে ৭ উইকেট হারিয়ে দেড়শোর আগেই গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। অষ্টম উইকেটে কিমো পলকে নিয়ে ২৮ রানের আরেকটি জুটি গড়েন হোপ। ১২ রানে থাকা পলের স্ট্যাম্প উড়িয়ে দেন মাশরাফি। পরের ওভারে এসে কেমার রোচকে এলবিডব্লিউ করেন নড়াইল এক্সপ্রেস।
তারপরও একটা প্রান্ত ধরে লড়াই চালিয়েই গেছেন হোপ। টানা দ্বিতীয় ম্যাচে তুলে নিয়েছেন সেঞ্চুরি। শেষ পর্যন্ত অপরাজিতই থেকে যান ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। ১৩১ বলে ৯ বাউন্ডারি আর ১ ছক্কায় ১০৮ রান করেন তিনি।
মিরাজের ৪টির সঙ্গে ২টি করে উইকেট নিয়েছেন মাশরাফি আর সাকিব। সাইফউদ্দীনের শিকার ১ উইকেট।
Advertisement
এমএমআর/এমএস