নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়েদেরকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ করতে এবং বুদ্ধিজীবী দিবস কী? সেদিন কী ঘটেছিল তা নতুন প্রজন্মকে জানাতে রায়েরবাজার বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধে বুদ্ধিজীবীদের হত্যা এবং তাদের মরদেহ এলোমেলো অবস্থায় পড়ে থাকার প্রতীকী দৃশ্য তুলে ধরা হয়েছে।
Advertisement
১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে ‘স্মৃতিতে রায়েরবাজার বধ্যভূমি’ শীর্ষক প্রতীকী দৃশ্য ফুটিয়ে তোলে খেলাঘর আসর। চন্দ্রালোক, সূর্যালোক ও ঘাসফুল খেলাঘর আসর এর আয়োজন করে।
‘স্মৃতিতে রায়েরবাজার বধ্যভূমি’ তুলে ধরে সংগঠনের নেতারা বক্তব্য রাখছেন। আয়োজনটি দেখতে হাজার শত শত মানুষ ভিড় করছে। এতে শিশু-কিশোররাও উৎসাহিত হচ্ছে বেশ।
জিগাতলা থেকে বাবার সঙ্গে রায়েরবাজার বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধে গেছেন রাসেল। বাবা ইঞ্জিনিয়ার আনছার আলী তাকে ঘুরে ঘুরে সব দেখাচ্ছেন এবং বুঝিয়ে দিচ্ছেন আজকের দিনের তাৎপর্য। ‘স্মৃতিতে রায়েরবাজার বধ্যভূমি’ দেখে রাসেলের ভালো লেগেছে। ‘স্মৃতিতে রায়েরবাজার বধ্যভূমি’ পাশেই বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি কবিতা পাঠের আসর বসিয়েছে। সেখানে কবিতা আবৃতি চলছে।
Advertisement
১৪ ডিসেম্বর বাঙালি জাতির ইতিহাসে এক বেদনাঘন দিন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রবল পরাক্রমের সামনে পরাজয় নিশ্চিত জেনে এক ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রে মেতে ওঠে।
তারা বেছে বেছে দেশের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, চিকিৎসক, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, দার্শনিক ও সংস্কৃতিক্ষেত্রের অগ্রগণ্য ব্যক্তিদের বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে গিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে। পাকিস্তানি ঘাতকদের এ বর্বর হত্যাকাণ্ডে প্রত্যক্ষ সহযোগিতা করেছিল রাজাকার-আলবদর বাহিনী।
মহান মুক্তিযুদ্ধে চূড়ান্ত বিজয়ের মাত্র দুইদিন আগে ১৪ ডিসেম্বর এই নারকীয় হত্যাযজ্ঞ ঘটিয়েছিল ঘাতকেরা। বিজয় অর্জনের পর রায়েরবাজারের পরিত্যক্ত ইটখোলা, মিরপুরসহ বিভিন্ন বধ্যভূমিতে একে একে পাওয়া যায় হাত-পা-চোখ বাঁধা দেশের খ্যাতিমান এই বুদ্ধিজীবীদের ক্ষতবিক্ষত মরদেহ।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ পৃথক বাণী দিয়েছেন।
Advertisement
এফএইচএস/এসআর/পিআর