উত্তর সিরিয়ায় কুর্দি যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে নতুন করে অভিযান চালাতে পারে তুরস্ক। দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়িফ এরদোগান এমনই জানিয়েছেন। তবে তুরস্ককে এ বিষয়ে সতর্ক করে দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, এর ফলে সে অঞ্চলে আইএস-বিরোধী লড়াই বাধাগ্রস্ত হতে পারে। একই সঙ্গে এ ধরনের আক্রমণ যুক্তরাষ্ট্র ‘মেনে নেবে না' বলেও জানিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী।
Advertisement
পেন্টাগনের মুখপাত্র কমান্ডার শন রবার্টসন জানিয়েছেন, ‘উত্তর সিরিয়ায় মার্কিন সেনারা অবস্থান করছে। ফলে সে অঞ্চলে যে কোনো পক্ষের একক অভিযানের সিদ্ধান্ত যুক্তরাষ্ট্রের জন্য উদ্বেগের।’
তিনি আরও বলেন, তুরস্কের সীমান্ত রক্ষায় সচেতন রয়েছে ওয়াশিংটন। কিন্তু একই সঙ্গে কুর্দিশ পিপলস প্রটেকশন ইউনিটস- ওয়াইপিজির নেতৃত্বে সিরিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ফোর্সেস মার্কিন বাহিনীর সহযোগী হিসেবে জঙ্গি সংগঠন ‘ইসলামিক স্টেট'- এর বিরুদ্ধে লড়াই করছে।
তিনি বলেন, ‘এই সংকটময় মুহূর্তে আইসিস শক্তি সঞ্চয় করতে পারে- এমন কিছু আমরা করতে দেব না। এতে আমাদের সহযোগীদের সঙ্গে মিলে যে সাফল্য আমরা অর্জন করেছি, তা নষ্ট হতে পারে এবং আইসিস আবার মাথাচাড়া দিয়ে ওঠতে পারে।’
Advertisement
এদিকে ওয়াইপিজিকে জঙ্গি সংগঠন কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টির (পিকেকে) অংশ হিসেবে বিবেচনা করে তুরস্ক। ফলে তারা সিরিয়ার কিছু অংশের নিয়ন্ত্রণ নেয়াকেও হুমকি হিসেবেই বিবেচনা করে তুরস্ক।
সম্প্রতি দেশটির প্রতিরক্ষা বিষয়ক এক সেমিনারে এরদোগান বলেন, ‘বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হাত থেকে ইউফ্রেটিসের পূর্ব পাড় মুক্ত করতে আমরা অচিরেই অভিযান শুরু করবো।’
সিরিয়ায় কুর্দি যোদ্ধাদের ওপর দীর্ঘদিন হামলা চালালেও ইউফ্রেটিস নদীর পূর্ব পাড়ে কখনও হামলা চালায়নি তুরস্ক। কারণ সেখানে আইএসের বিরুদ্ধে লড়াইরত মার্কিন সেনাদের ঘাঁটি রয়েছে। তবে পূর্ব ইউফ্রেটিসে কুর্দি আধিপত্য নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে তুর্কি-মার্কিন বিরোধ চলছে।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ইউরোপের বিভিন্ন দেশের মতো তুরস্ক এবং সিরিয়াতেও তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। আর তারই মধ্যে সীমান্ত পার হয়ে সিরিয়ায় ঢুকেছে তুর্কি সেনারা। সূত্র : ডয়েচে ভেলে
Advertisement
এমএমজেড/পিআর