জাতীয়

স্বাধীনতাযুদ্ধে নারীর বীরত্বপূর্ণ অংশগ্রহণ সমাজে স্থান পায়নি

বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের সভাপতি নাসিমুন আরা হক বলেছেন, স্বাধীনতাযুদ্ধে নারীর যে বীরত্বপূর্ণ অংশগ্রহণ তা সেভাবে সমাজে স্থান পায়নি। অনেক নারী মুক্তিযোদ্ধা মানবেতর জীবনযাপন করেছেন। নারীর অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ঢাকায় একটি স্মৃতিসৌধ গড়ার দাবি জানাই।

Advertisement

বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে বীরপ্রতীক তারামন বিবির স্মরণসভায় তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ, বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্র এবং বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘরর যৌথ উদ্যোগে এ স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়।

বীরপ্রতীক তারামন বিবির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে নাসিমুন আরা হক বলেন, মুক্তিযুদ্ধে নারীর জনগণের অনেকেই জানেন না। ৭১-এর ১৩ অক্টোবর সম্মুখযুদ্ধে এই বীরপ্রতীক অংশ নিয়েছিলেন। এতে ১৩ জন পাকহানাদার বাহিনী ও রাজাকারের মৃত্যু হয়। নারীদের এই অবদানের স্বীকৃতি দিতে আমরা অনেক দেরি করেছি।

বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি আয়শা খানম বলেন, তারামন বিবি হচ্ছেন একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে নারীর যে অংশগ্রহণ তার একটি প্রতীক। তিনি মুক্তিযুদ্ধে নারীর ভূমিকাকে তুলে ধরার প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করেন। এক্ষেত্রে তিনি মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ভূমিকাকে প্রশ্ন রাখেন।

Advertisement

বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘের নির্বাহী পরিচালক রোকেয়া কবীর তারামন বিবির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, মুক্তিযুদ্ধে নারীর ভূমিকাকে সঠিকভাবে মূল্যায়ন করা হয়নি, তেমনি মূল্যায়ন করা হয়নি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী শ্রমিক শ্রেণি, কৃষক শ্রেণি এবং দরিদ্র জনগোষ্ঠীর ভূমিকাকে।

স্মরণসভায় আরও উপস্থিত ছিলেন কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন, সাংবাদিক কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক পারভীন সুলতানা ঝুমা, শ্যামলী নাসরীন চৌধুরী, সঙ্গীতশিল্পী সানোয়ারা জাহান নিতু প্রমুখ।

এএস/বিএ

Advertisement