প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিয়মিত নামাজ পড়েন। স্বাস্থ্য ঠিক রাখা সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি নামাজ পড়ি নিয়মিত, অন্য কোনো এক্সারসাইজ তেমন একটা হয় না।
Advertisement
প্রধানমন্ত্রী বলেন, গণভবনে থাকা অনেকটা বন্দিজীবনের মতো। ইচ্ছে করলে আমি বের হয়ে চলে যাব, হাঁটবো সেগুলো সুযোগ হয় না। ওর মধ্যেই একটু চেষ্টা করি হাঁটাচলা করতে, একটু সকালের দিকে উঠে ওখানে খোলা একটা ছাদ আছে, সেখানে হাঁটি।
বৃহস্পতিবার রাতে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে আওয়ামী লীগের গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন-সিআরআই আয়োজিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তরুণ প্রজন্মের সরাসরি মতবিনিময় অনুষ্ঠান ‘লেটস টক উইথ শেখ হাসিনা’ অনুষ্ঠানে এক তরুণীর প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
খাওয়া-দাওয়ার বিষয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আসলে খুব পরিমিত খেতে পারলে ভালো হয়। যখন যা পাই, খেয়ে নেই। আসলে খাওয়া নিয়ে আমার কোনো বাছ-বিচার নেই। পরিমিতভাবে খাওয়া, চিন্তা-ভাবনাটাকে একটু স্বচ্ছ রাখা। আর সবচেয়ে বড় কথা আমি ভালো থাকবো এই চিন্তাটা করা।
Advertisement
অবসর সময়ে নাতি-নাতনিদের সঙ্গে লুডু, দাবা ও কেরাম খেলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এক তরুণী জানতে চান আপনি নানি-দাদি হিসেবে কেমন? জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ‘সেটা আমার নাতিদের জিজ্ঞেস করলে বলবে। আমার খুব ভালো লাগে ওই ছোট্টগুলোর সঙ্গে থেকে শুরু করে বড়, সকলের সঙ্গে। আমরা লুডু খেলি, আমরা কেরাম খেলি, আমরা দাবা খেলি। আমরা তাদের সঙ্গে ছুটোছুটি করি।’
তিনি বলেন, ‘আমার নাতি-নাতনিরা আমার হাতের রান্না পছন্দ করে। যে যেটা খেতে চায় আবার একটু রান্নাও করি। আর ছোট্ট একটা আছে, সে আবার খুব ডিমান্ডিং। বলে দেয়, তুমি রান্না করবে। ববির ছোটটা।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আবার অনেক সময় কোলে চড়ে বসে, আমাকে নির্দেশ দেয়। ভালো লাগে, যখন নাতি-নাতনি নিয়ে একসঙ্গে বসি। আবার কেরাম খেলার সময় একটু চিটিং করে। সেটা আবার ধরতে হয়। লুডু খেলার সময় সেগুলো হয়।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আসলে যখন নাতিদের সঙ্গে থাকি, তখন মনে হয় তাদের সঙ্গেই আছি। নাতি-নাতনিদের নিয়ে থাকা এই বৃদ্ধ বয়সে এর থেকে সুন্দর সময় আর কিছু হয় না।’
Advertisement
এইউএ/বিএ