খেলাধুলা

যে কারণে একসঙ্গে খেলানো হচ্ছে চার ওপেনার

মিডল অর্ডারে মোহাম্মদ মিঠুন ও আরিফুল হক আছেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তারা যে এরই মধ্যে খুব বড় কিছু করে ফেলেছেন তা নয়। মিঠুন-আরিফুল এখনো নিজেদের সামর্থ্যের প্রমাণ দিতেই ব্যস্ত। তারপরেও তারা পুরোদস্তুর মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান। ব্যাটিং অর্ডারে ছয়-সাত নম্বরে খেলার সহজাত অভিজ্ঞতাটা আছে তাদের।

Advertisement

কিন্তু তাদের বাদ দিয়ে সৌম্যকে ছয় নম্বরে খেলানো, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ইনিংস সূচনার দায়িত্ব নিয়ে প্রায় সাড়ে তিনশ (দুই সেঞ্চুরি ও ৯০ রানের ইনিংসে ৩৪৯) করা ইমরুলকে তিনে নামিয়ে আনা এবং লিটন দাসকে তামিমের সঙ্গে ওপেন করতে পাঠানো- সব মিলে চার চার জন ওপেনার খেলেছেন সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচের একাদশে।

তা নিয়ে প্রশ্ন তোলাই যায়, কথাও হচ্ছে প্রচুর। তামিম ছাড়া লিটন, ইমরুল, সৌম্যর কেউই সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে রান না পাওয়ায় প্রশ্ন জোরালো হচ্ছে আরও। বারবার বলা হচ্ছে চার ওপেনারকে এভাবে জায়গা বদলের চক্রে বেঁধে ফেলা কেনো? সিলেটে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচের আগে সে প্রশ্ন উঠেছে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনেও।

প্রশ্নের জবাবে মোটামুটি বিশদ ব্যাখ্যা দেয়ার চেষ্টা করেছেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। তিনি জানিয়ে দেন এ সিরিজে চারজন ওপেনারকেই একসঙ্গে খেলানো হলেও এটিই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নয়। নিয়মিত মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ মিঠুনও বেশ জোরালোভাবেই রয়েছেন বিবেচনায়।

Advertisement

মাশরাফি বলেন, ‘আসলে আমরাও তো একটা নির্দিষ্ট পরিকলনা নিয়েই চার ওপেনার খেলাচ্ছি। বলবো না যে সেটাই শতভাগ সঠিক এবং চার ওপেনারকেই ওভাবে খেলাতে হবে। সব সিদ্ধান্ত তো আর শতভাগ ফলপ্রসু হয় না। তারপরেও আমাদের প্রথম ম্যাচে লিটন ক্লিক করেছিল, সৌম্য ভালো খেলতে খেলতে শেষ দিকে আউট হয়েছে।’

তিনি আরও যোগ করে বলেন, ‘এটা ঠিক যে ইমরুল দুই ম্যাচে রান পায়নি। সৌম্যও ছয়ে খেলে সে অর্থে রান পায়নি। তবে আগের ম্যাচে লিটন ব্যথা পেয়ে বাইরে না গেলে পুরো চিত্রটা ভিন্নরকম হতে পারত। আবারও বলছি যে এটাই চূড়ান্ত নয় যে এই চার ওপেনার দিয়েই আমাদের ব্যাটিং অর্ডার আবর্তিত হবে। আমাদের পাঁচে-ছয়ে ফিক্সড পারফরমার আছে। এর বাইরে মিঠুনও বিবেচনায় আছে। সেও ছয়ে খেলার যোগ্য।’

এসময় মাশরাফির কথায় ইঙ্গিত পাওয়া যায় মূলত ফর্মের চূড়ায় থাকার কারণে ইমরুল, লিটন বা সৌম্যর কাউকেই বাদ দেয়া যায়নি। এছাড়া ওপেনিং জুটিতে ডানহাতি-বাঁহাতি কম্বিনেশন তৈরি করার লক্ষ্যেই আগের সিরিজে ইমরুল ওপেনিংয়ে নেমে ভালো করলেও এবার তাকে তিনে নামিয়ে উদ্বোধনের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে লিটনের কাঁধে।

মাশরাফি বলেন, ‘ইমরুল আগের সিরিজে প্রায় সাড়ে তিনশ (৩৪৯) রান করেছে। আগের সিরিজে এতো ভালো করা কাউকে পরের সিরিজেই বাদ দেয়া কঠিন। তাই ইমরুলকে খেলানো হয়েছে। আর লিটনকে উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে পাঠানো হয়েছে মূলত ডানহাতি-বাহাতি কম্বিনেশনের কারণে। এজন্যই মূলত ইমরুলকে তিনে খেলানো।’

Advertisement

‘এছাড়া দেখেন পাঁচ থেকে ছয় নম্বর পর্যন্ত আমাদের ফিক্সড পারফরমার আছে। সাকিব তিনে ভালো খেলছিল, রানও করছিল। কিন্তু এখন সাকিব পাঁচে নেমে গেলে ব্যাটিং গভীরতা বাড়ে। এটাও তাকে নিচে নামিয়ে আনার কারণ।’ – আরও বলেন মাশরাফি।

এআরবি/এসএএস/পিআর