সমকামিতায় রাজী না হওয়ায় নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের দারুল তাকওয়া তাফিজুল কুরআন হাফিজ মাদরাসার ছাত্র ফয়সালকে (১০) শ্বাসরোধে হত্যা করে একই মাদরাসার ছাত্র ইসা হক। বৃহস্পতিবার বিকেলে হত্যার দায় স্বীকার করে নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কে এম মহিউদ্দিনের আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে ইসা। নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক হাবিবুর রহমান স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ইসা হক আড়াইহাজারের কালাপাহাড়িয়ার আমিরউদ্দিনের ছেলে।মামলার তদন্তকারী কর্মকতা জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাইফুল ইসলাম জাগো নিউজকে জানান, ২০১৩ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর সিদ্ধিরগঞ্জের পাইনাদী নতুন মহল্লা এলাকায় অবস্থিত দারুল তাকওয়া তাফিজুল কুরআন হাফিজ মাদরাসার ছাত্র ফয়সাসের সঙ্গে সমকামিতা করতে চায় একই মাদরাসার ছাত্র ইসা। কিন্তু এ সময় ফয়সাল চিৎকার চেঁচামেচি করতে থাকলে ইসা ক্ষিপ্ত হয়ে ফয়সালকে গলায় রশি দিয়ে পেঁচিয়ে হত্যা করে বৈদ্যুতিক পাখার সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখে। এ ঘটনায় নিহতের বাবা আয়াত উল্লা বাদি হয়ে তিনজনের নাম উল্লেখ করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলাটি প্রথমে তদন্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জসিম। তার তদন্তের বিরুদ্ধে নারাজি দেন বাদি। মামলাটি পুণরায় তদন্তের জন্য জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। সাইফুল আরো জানান, মামলাটি ডিবিতে হস্তান্তরের পর গত শনিবার এজাহারভুক্ত আসামি ইসা হককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য তিনদিনের রিমান্ডে নেয়া হয়। পরে রিমান্ডে থাকা অবস্থায় ইসা হক আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।মো. শাহাদাৎ হোসেন/এসএস/পিআর
Advertisement