অর্থনীতি

নির্বাচনের আগে পোশাক খাতে বিশৃঙ্খলা পরিকল্পিত : বিজিএমইএ

‘গাজীপুর ও আশুলিয়ার ৫০টির মতো কারখানায় কর্মবিরতির খবর পেয়েছি। চার-পাঁচদিন আগে নারায়ণগঞ্জেও একইভাবে কর্মবিরতি পালন করা হয়। শ্রমিকরা দুপুরের পর আর কাজ করছে না। হঠাৎ রাস্তায় নেমে আসছে। গাড়ি ভাঙচুর করছে। কোনো কিছু না বলেই বের হয়ে যাচ্ছে।’

Advertisement

বলছিলেন বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান। তার অভিযোগ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে একটি মহল পরিকল্পিতভাবে পোশাক খাতে বিশৃঙ্খলা করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। তারা নতুন মজুরি কাঠামোর বিষয়ে অপপ্রচার চালিয়ে শ্রমিকদের আন্দোলনে নামানোর পরিকল্পনা করছে।

বুধবার রাতে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বিজিএমইএ সভাপতি। তিনি বলেন, নতুন মজুরি কাঠামোর বেতন নিয়ে পোশাক শ্রমিকদের বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। শ্রমিকদের ভয়ভীতি দেখিয়ে কর্মবিরতি পালনে বাধ্য করছে। নির্বাচনকে সামনে রেখে একটি মহল পরিকল্পিতভাবে পোশাক খাতে বিশৃঙ্খলা করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। একই সঙ্গে স্বার্থান্বেষী মহলের উসকানিতে পোশাক শ্রমিকদের বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।

শ্রমিকদের উদ্দেশে সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ন্যূনতম মজুরির গেজেট প্রকাশিত হয় গত ২৯ নভেম্বর, যা বাস্তবায়ন হবে ডিসেম্বর মাসের বেতনে এবং পরিশোধ করা হবে আগামী জানুয়ারির ৭ থেকে ১০ তারিখের মধ্যে। আপনাদের কাছে আমাদের একান্ত অনুরোধ, জানুয়ারি মাসে আপনাদের বেতন প্রাপ্তির পর যদি কোনো শ্রমিক ভাই বা বোনের আপত্তি থাকে, তা কারখানা কর্তৃপক্ষের কাছে তুলে ধরবেন। কারখানা কর্তৃপক্ষ যদি তা সমাধান না করতে না পারে, তাহলে বিজিএমইএর কাছে আসবেন। এরপরও যদি মনে করেন আপনি খুশি নন, তাহলে সরকারের কাছে যাবেন।

Advertisement

সরকার ঘোষিত নতুন মজুরি পাওয়ার আগে কোনো আন্দোলন করার যৌক্তিকতা নেই উল্লেখ করে পোশাক মালিকদের সংগঠনের এই নেতা বলেন, শ্রমিকদের সরলতার সুযোগ নিয়ে একটি স্বার্থান্বেষী মহল আসন্ন নির্বাচনের আগে উস্কানি দিয়ে অস্থির পরিস্থিতি সৃষ্টির অপতৎপরতায় লিপ্ত হয়েছে। আমরা আপনাদের আশ্বস্ত করতে চাই, ২০১৮ সালের এই মজুরি গেজেট ২০১৩ সালের মজুরি গেজেটের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই করা হয়েছে। তাহলে কারা এই প্ররোচনার সৃষ্টি করছে?

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে অনুরোধ জানিয়ে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, যারা আমাদের নিরীহ শ্রমিক ভাইবোনদের বিভ্রান্ত করে, তাদের প্ররোচনা দিয়ে পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করতে চাইছে, তাদের আইনের আওয়াতায় আনুন।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) সাবেক সভাপতি এ কে আজাদ, বিজিএমইএ’র সহ-সভাপতি এসএম মান্নান (কচি), সহ-সভাপতি (অর্থ) মোহাম্মদ নাছির, পরিচালক মো. নাসির উদ্দিন, আনোয়ার হোসেন, আ.ন.ম সাইফউদ্দিন প্রমুখ।

এসআই/জেডএ/বিএ

Advertisement