পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের প্রাথমিক ফলাফলে দেশটির ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) ভরাডুবির পর পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, এই নির্বাচনের মাধ্যমে বিজেপির শেষের শুরু হলো।
Advertisement
এক টুইট বার্তায় তিনি বলেন, এটা গণতন্ত্রের জয়। বিজেপির অবিচার এবং নৃশংসতা, প্রতিষ্ঠান ধ্বংস, ক্ষমতার অপব্যবহারের বিরুদ্ধে জয়। কৃষক, ছাত্র, যুব দলিত কারো কোনো কর্ম নেই। সবাই বিজেপিকে জবাব দিয়েছেন।
অপর এক টুইটে মমতা বলেন, সেমিফাইনালে এটা প্রমাণিত হয়েছে যে, কোনো রাজ্যেই বিজেপির অস্তিত্ব নেই। এটাই ২০১৯ সালের ফাইনাল ম্যাচের চূড়ান্ত গণতান্ত্রিক ইঙ্গিত। শেষ পর্যন্ত এখানে ভোটাররা ম্যান অব দ্য ম্যাচ। জয়ীদের অভিনন্দন।
আরও পড়ুন : কী হচ্ছে আজ আম্বানি কন্যার বিয়েতে?
Advertisement
দীর্ঘ দিন ধরেই বিজেপির বিরুদ্ধে সরব পশ্চিমবঙ্গের এই মুখ্যমন্ত্রী। বিজেপিকে পরাস্ত করতে বিভিন্ন বিরোধীদলকে এক ছাতার তলায় আনার কাজ শুরু করেছেন তিনি। সোমবারও দিল্লিতে গিয়ে বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক করেছেন তিনি।
বিজেপি বিরোধী জোট গঠন করতে প্রধান ভূমিকা পালন করছেন মমতা। এর আগেও দিল্লি গিয়ে একাধিকবার বৈঠক করেছেন তিনি। বিভিন্ন রাজ্যের নেতারাও পশ্চিমবঙ্গ সফর করেছেন। লোকসভা নির্বাচন এগিয়ে আসায় তৎপর হয়েছে বিরোধীরা।
কর্নাটক বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশিত হওয়ার পর কংগ্রেস এবং জেডিএস জোট গঠন করে। বিজেপিকে রুখতে অনেক বেশি আসন পেয়েও জোট সঙ্গীকেই মুখ্যমন্ত্রী পদ ছেড়ে দেয় কংগ্রেস। নতুন সরকারের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মমতা, সোনিয়া ও রাহুল গান্ধি।
আরও পড়ুন : ‘কংগ্রেস’ ও ‘বিজেপি’ প্রসব করল গাভী
Advertisement
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বিজেপির এই হারের নেপথ্যে একাধিক কারণ রয়েছে। তারা সাধারণ মানুষকে কষ্ট দিয়েছে। সাধারণ মানুষকে আঘাত করেছে। নোট বাতিলের মতো পদক্ষেপের সঙ্গে লড়াই করতে গিয়ে নাভিশ্বাস উঠেছে মানুষের।
সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে দুর্বল করেছে বিজেপি। এর বিরুদ্ধে সমস্ত আঞ্চলিক দলকে এক হয়ে লড়তে হবে। একটি শক্তিশালী ফেডারেল ফ্রন্ট গঠন করার মানে একটি শক্তিশালী ভারত গঠন করা। পুরো দেশ থেকে বিজেপির শক্তি কমে আসছে, অবস্থা দিনদিন খারাপ হচ্ছে। লোকসভা ভোটে বিজেপিকে ছুঁড়ে ফেলার অপেক্ষা করছে মানুষ।
এসআইএস/আরআইপি