দেশজুড়ে

ভোট চাচ্ছেন প্রার্থীর স্ত্রী-সন্তানরাও

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আর মাত্র ১৭ দিন বাকি। প্রচার প্রচারণার জন্য হাতে আছে খুবই কম সময়। আর তাই প্রতীক বরাদ্দের পর প্রচার-প্রচারণায় সরগরম হয়ে উঠেছে খুলনা। শুধু প্রার্থীই নয়, তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন স্ত্রী, সন্তানও। তবে তফসিল ঘোষণার পর থেকে কয়েকটি বিচ্ছিন্ন সংঘর্ষের ঘটনায় আতঙ্ক রয়েছে ভোটারদের মাঝে।

Advertisement

নীতিমালা অনুযায়ী দুপুর ২টার পর থেকে নির্বাচনী এলাকার পাড়া মহল্লায় শুরু হচ্ছে মাইকিং। সড়কগুলোতে শোভা পাচ্ছে প্রার্থীদের ছবি সম্বলিত পোস্টার। এবার প্রচার-প্রচারণায় এগিয়ে রয়েছেন প্রধান দু’টি রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রার্থীরা। দুই দলের প্রতীক নৌকা ও ধানের শীষের প্রচারণায় মুখর অলিগলি।

খুলনার সর্বত্রই এখন আলোচনার প্রধান বিষয় নির্বাচন। দীর্ঘ প্রায় এক দশক পর বিএনপি এই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। এবার তাই আলোচনাটা একটু বেশী বলে মনে করছেন সবাই। প্রচার-প্রচারণায় এবার থিম সং আকৃষ্ট করছে সবাইকে। ভোট চেয়ে মাইকিংয়ের ফাঁকে ফাঁকে আবেগময় কণ্ঠে গাওয়া গানে সাধারণ ভোটারদের মন জয়ের চেষ্টা চলছে প্রার্থীদের পক্ষে।

এবার খুলনার ৬টি আসনের ৩৫ প্রার্থীর সঙ্গে সরাসরি প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন তাদের স্ত্রী, সন্তানরা। গভীর রাত অবধি প্রার্থীর সঙ্গেই থাকছেন তারা।

Advertisement

খুলনা-৪ আসনের প্রার্থী শিল্পপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী বলেন, আমার স্ত্রী শারমিনও আমার সঙ্গে নির্বাচনের প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন। তাকে দেখে গ্রামের নারীরা উৎসাহ পাচ্ছেন।

খুলনা চেম্বারের সাবেক সভাপতি ও খুলনা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি এসএম নজরুল ইসলাম বলেন, এবারের নির্বাচন খুবই উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে বলে আমি বিশ্বাস করি। সবখানেই উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। সব দলের নেতাকর্মীরা স্বাধীনভাবে প্রচারণায় অংশ নিয়েছে। যা উৎসবের সৃষ্টি করেছে। সবকিছুকে ছাপিয়ে জনগণ ভোট দেয়ার জন্য মুখিয়ে আছে।

প্রার্থী ও সমর্থকরা যাতে সুন্দরভাবে প্রচারণা চালাতে পারেন এবং অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে ভোটাররা ভোট প্রদান করতে পারেন সেজন্য নির্বাচন কমিশনকে আরও বেশি দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান তিনি।

আলমগীর হান্নান/এফএ/পিআর

Advertisement