দেশজুড়ে

শেবাচিমের পরিচালক ডা. সেলিম ওএসডি

বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের বিতর্কিত পরিচালক ডা. মু. কামরুল হাসান সেলিমকে ওএসডি করা হয়েছে।বৃহস্পতিবার বিকেলে বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. বিনয় কৃঞ্চ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালক ডা. মু. কামরুল হাসান সেলিমকে ওএসডি করার ফ্যাক্সবার্তা স্বাস্থ্য মন্ত্রাণালয় থেকে বরিশালে প্রেরণ করা হয়েছে। ওই ফ্যাক্স বার্তায় হাসপাতালে উপ-পরিচালক ডা. শহীদুল ইসলামকে বৃহস্পতিবার থেকে ভারপ্রাপ্ত পরিচালকের দায়িত্ব পালন এবং ডা. সেলিমকে ঢাকার মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদফতর কার্যালয়ে যোগদান করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ওএসডি হওয়া পরিচালক ডা. কামরুল ইসলাম সেলিম একটি সভায় অংশ নিতে গত বুধবার থেকে ঢাকায় অবস্থান করছেন। শেবাচিম হাসপতাল সূত্রে জানা গেছে, ২০০৯ সালে মেডিকেল অফিসার থেকে শেবাচিম সহকারী পরিচালক পদে যোগদান করেন ডা. মু. কামরুল হাসান সেলিম। এরপরে তিনি হাসপাতালে একক অধিপত্য বিস্তার করেন। অদৃশ্য শক্তিতে চার বছরে তিনটি পদোন্নতি পেয়ে ২০১৩ সালে তিনি পরিচালক পদে আসীন হন। ডা. কামরুল ইসলাম সেলিমের সরকারি চাকরির বয়সসীমা শেষ হয়েছে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি। কিন্ত তিনি নানা তালবাহনা করে দুই মাস দায়িত্ব হস্তান্তর করেননি। আর কর্মস্থলেও ছিলেন অনুপস্থিত। এ সময়ে তিনি মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরির মেয়াদ বৃদ্ধির তদবিরে ঢাকায় অবস্থান করেছিলেন বলে নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে জানা যায়। দুই মাস পর তিনি মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরির মেয়াদ বৃদ্ধির চিঠি নিয়ে মে মাসে পুনরায় কর্মস্থলে দায়িত্ব পালন শুরু করেন। ডা. মু. কামরুল হাসান সেলিমের বিরুদ্ধে হাসপাতালের প্রায় দুইশ কোটি টাকার ভারি যন্ত্রপাতি ক্রয়ের নামে কোটি কোটি টাকার কমিশন বাণিজ্যের অভিযোগ রয়েছে। দক্ষ জনবলের অভাবে ওই যন্ত্রপাতিগুলো হাসপাতালের বারান্দায় বাক্সবন্দি অবস্থায় রয়েছে। নানা তালবাহানায় স্থায়ী জনবল নিয়োগ বন্ধ রেখে আউটসোর্সিং জনবল পদ্ধতিতে হাসপাতাল পরিচালনার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।এদিকে, গত ৮ আগস্ট বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অনিয়ম ও রোগীদের দুর্ভোগ নিয়ে `ভোগান্তি বাড়াতে চান শেবাচিমে যান` শিরোনামে `জাগো নিউজে` বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। # ভোগান্তি বাড়াতে চান শেবাচিমে যানসাইফ আমীন/এআরএ/পিআর

Advertisement