প্রথমে দেখে মনে হবে এটা কি আসলেই বার্সেলোনা! লুইস সুয়ারেজ, পিকে, বুস্কেটস, মেসি, স্টেগান, রবার্তো, আলবাদের ছাড়া বার্সেলোনা দল চিন্তা করাও যায় না। টটেনহ্যামের বিপক্ষে বার্সেলোনার এতসব তারকাকে বাদ দেয়ার খেসারত বেশ ভালোভাবেই দিতে হলো কোচ ভালভার্দেকে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে ক্যাম্প ন্যুতে স্পার্সের সঙ্গে ১-১ ব্যবধানে ড্র করে বার্সা।
Advertisement
ম্যাচের একদম শুরুতেই গোল পেয়ে যায় বার্সেলোনা। বার্সেলোনার অর্ধে ফ্রি কিক পেয়েছিল স্পার্স। সেটিকে ক্লিয়ার করে বার্সেলোনার এক ডিফেন্ডার। কিন্তু সেই বলটিকে নিজের কন্ট্রোলে রাখতে পারেননি স্পার্স ডিফেন্ডার ড্যানি রোজ। মাঝমাঠ থেকে বুলেট গতির দৌড়ে ড্যানি রোজের কাছ থেকে বল ছিনিয়ে নিয়ে তাকে পরাস্ত করে ঢুকে পড়েন স্পার্স রক্ষণভাগে। সেখানে গোলরক্ষককে পরাস্ত করে দারুণ এক গোল করেন এই ফ্রেঞ্চ মিডফিল্ডার। বার্সার হয়ে শেষ নয় ম্যাচের নয়টিতেই গোলে অবদান রাখলেন তিনি।
এই গোল যেন তার একটি সমালোচনার জবাবও বটে। বেশ কয়েকদিন ধরেই অনিয়মিত হয় অনুশীলন করছিলেন দেম্বেলে। এ জন্য নানান মহল থেকে কথাও শুনতে হয় তাকে। সব সমালোচনাকে এক নিমিষেই তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিলেন তিনি।
তবে গোল শোধেরও সহজ সুযোগ পেয়েছিল টটেনহ্যাম। ৩৩ মিনিটে কোরিয়ান ফরোয়ার্ড সন বার্সা গোলরক্ষক সিলেসিনকে একা পেয়েও গোল করতে ব্যর্থ হন। বল সিলেসিনের পায়ে লেগে বাইরে চলে যায়। প্রথমার্ধের একদম শেষ মিনিটে কৌতিনহোর শট গোলবারে লাগলে আশাহত হন এই ব্রাজিলিয়ান। ফলে এক গোলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় বার্সা।
Advertisement
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে গোল শোধে মরিয়া হয়ে খেলতে থাকে স্পার্স। ৪৯ মিনিটে ২০ গজ দূর থেকে হ্যারি কেইনের নেয়া শট কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন সিলেসিন। ৫১ ও ৫২ মিনিটে আরও দুটি গোলের সুযোগ তৈরি করলেও বার্সেলোনার ডিফেন্স এবং গোলরক্ষক সিলেসিনের দৃঢ়তায় রক্ষা পায় তারা।
৬৫ মিনিটে স্ট্রাইকার মুনিরের বদলি হিসেবে মাঠে নামেন মেসি। কিন্তু স্পার্সের আক্রমণ করা বন্ধ হয়নি। ৮৫ মিনিটে কৌতিনহোর শট ম্যাচে দ্বিতীয়বারের মতো গোলবারে লেগে প্রতিহত হয়। এর ঠিক পরেই ৮৫ মিনিটে অধরা সেই গোলটি করেন লুকাস মৌরা। হ্যারি কেইনের ক্রস থেকে গোল করে স্পার্সকে সমতায় ফেরান এই ব্রাজিলিয়ান।
ম্যাচে শেষের দিকে বার্সেলোনা গোল দেয়ার জন্য মরিয়া হয়ে খেললেও গোল পায়নি। ফলে ১ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ সেরা হয়েই পরবর্তী রাউন্ডে পা রাখে বার্সা। গ্রুপের অন্য ম্যাচ ইন্টার মিলান ১-১ ব্যবধানে পিএসভির সাথে ড্র করায় ইন্টার ও স্পার্সের পয়েন্ট সমান হয়ে যায়। ফলে গোল ব্যবধানে এগিয়ে থেকে গ্রুপ রানার্সআপ হয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠে যায় স্পার্স।
আরআর/বিএ
Advertisement