ঝালকাঠি সদর উপজেলার নথুল্লাবাদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক কর্তৃক ৮ শ্রেণির এক ছাত্রকে বেদম পেটানোয় সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ওই ছাত্র। বুধবারের এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার অভিযুক্ত শিক্ষককে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির এক সভায় কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে। আহত ছাত্র মো. কাওছার হোসেন বলেন, বুধবার দুপুর ১২ টায় বিজ্ঞান ক্লাসে বিএসসি শিক্ষক অমলেন্দু হালদার বিজ্ঞান বিষয়ক পাঠদান করাতে আসেন। এ সময় পড়া না হওয়ায় শিক্ষার্থীদের মারধর করেন তিনি। এক ছাত্রীকে পেটানোর সময় ছাত্রীটি উফ শব্দ উচ্চারণ করলে শামীম নামের এক ছাত্র কুক দেয়। তখন স্যার কুক দিয়েছে কে জিজ্ঞাসা করলে নাজমুল নামের এক ছাত্র আমাকে দেখিয়ে দেয়। স্যার কোনো কথা জিজ্ঞাসা না করেই আমাকে বেত দিয়ে প্রচুর মারধর করে। তখন আমি ক্লাস থেকে বের হয়ে প্রধান শিক্ষকসহ অন্যান্য স্যারদের কাছে বললে কেউ তা গ্রাহ্য করেনি। পরে বাড়িতে গিয়ে বাবাকে দেখালে তিনি আমাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে আসেন। সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. মানস কৃষ্ণ কুন্ডু বলেন, কাওছার নামের এক ছাত্র শিক্ষকের পিটুনিতে আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। তার পিঠে পেটানোর কাটা দাগ এখনো রয়েছে। তাকে চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করার চেষ্টা করছি। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, অমলেন্দু হালদার একজন প্রবীণ শিক্ষক। তিনি শিক্ষাদানে দীর্ঘদিন যাবত নিবেদিত। শ্রেণি কক্ষে শিক্ষকের সামনে কুক দেয়ার বিষয়টি তিনি সহজে মেনে নিতে না পারায় রাগান্বিত হয়ে ভুলক্রমে দুর্ঘটনা ঘটিয়েছেন। তবে সভা ডেকে বিধি মোতাবেক তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সদর থানা পুলিশের সেকেন্ড অফিসার আব্দুল হালিম তালুকদার বলেন, ঘটনা শুনে সরেজমিনে গিয়ে সবার সঙ্গে কথা বলেছি। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি, শিক্ষক ও অভিভাবকরা মীমাংসার উদ্যোগ নিয়েছে। তারপরও যদি অভিভাবক অভিযোগ দেয় তাহলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। এসএস/এমআরআই
Advertisement