দেশজুড়ে

ছাত্রলীগ নেতা মিরাজ হত্যা মামলা সিআইডিতে

লক্ষ্মীপুর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মিরাজুল ইসলাম মিরাজ (২৬) হত্যা মামলাটি তদন্ত করার জন্য সিআইডিকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার জেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালত-১ এর বিচারক আফসানা আবেদিন পুলিশের দাখিল করা অভিযোগপত্রের (চার্জশিট) বিরুদ্ধে বাদীর নারাজি মঞ্জুর করে এ আদেশ দেন।এর আগে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও রায়পুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আব্দুল মালেক জেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত-১ এ চার্জশীট দেয়। এতে চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী রাকিব হোসেন রাজুসহ চারজনকে অভিযুক্ত করা হয়। সেখানে এজাহারভুক্ত রায়পুর পৌর শিবিরের সভাপতি পরানসহ এজাহার নামীয় ১৮ বিএনপি-জামায়াত নেতাকর্মীকে বাদ দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ আনেন বাদী।বাদীর অভিযোগ, পরিকল্পিতভাবে তাঁর ছেলেকে হত্যা করা হলেও পুলিশ কর্মকর্তারা সঠিকভাবে মামলাটি তদন্ত করেননি। আইন বহির্ভূতভাবে চার আসামির নাম দিয়ে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।মামলার পাঁচজন সাক্ষী তদন্ত কর্মকর্তা ও আদালতের কাছে তাদের সাক্ষ্য দিলেও উদ্দেশ্যমূলকভাবে বিএনপি-জামায়াতের ১৮ আসামির নাম বাদ দেয়া হয়েছে।বাদীপক্ষের আইনজীবী মিজানুর রহমান মুন্সি বলেন, পুলিশের দাখিল করা অভিযোগপত্রের বিরুদ্ধে বাদীর নারাজি মঞ্জুর হয়েছে। আর এজন্য মামলাটি তদন্ত করার জন্য সিআইডিকে দায়িত্ব দেয়া হয়।পুলিশ ও সংশ্লিষ্টরা জানায়, রায়পুর পৌরসভার দেনায়েতপুর এলাকার সর্দার বাড়ির ছ্ত্রালীগ নেতা মিরাজ ১৫ ডিসেম্বর বিকেলে বিএনপি-জামায়াতের অবরোধ চলাকালে মোটরসাইকেলে যুবলীগ কর্মী মাসুদ হোসেন ও সোহেলকে নিয়ে কোরোয়ার ভূঁইয়ার হাটে যায়। এর আগে ১২ ডিসেম্বর রাতে যুদ্ধাপরাধী জামায়াত নেতা আবদুল কাদের মোল্লার ফাঁসির রায় কার্যকর করা হয়। মিরাজ ভূইয়ার হাট থেকে মীরগঞ্জ সড়ক হয়ে রায়পুর আসার পথে ভাঁটের মসজিদ এলাকায় পৌঁছলে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা তাদের পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করে স্লোগান দিয়ে পালিয়ে যায়। এ সময় ঘটনাস্থলে প্রচুর রক্তক্ষরণে মিরাজ মারা যায়। তার মাথা, কপাল, বুক ও পাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে কোপানোর চিহ্ন ছিল। পরদিন ঘটনাস্থল এলাকার জামায়াত নেতা হাফেজ ইউছুফ ও শিবির নেতা পরানসহ ১১ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত পরিচয় আরো ১৫ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করা হয়।কাজল কায়েস/এআরএ/পিআর

Advertisement