কোলাকুলি ও কুশল বিনিময়ের মাধ্যমে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু করেছেন চট্টগ্রামের দুই হেভিওয়েট প্রার্থী আবদুল্লাহ আল নোমান এবং ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
Advertisement
মঙ্গলবার (১১ ডিসেম্বর) সকালে আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু উপলক্ষে হযরত শাহ সুফি আমানত খান (রহ.) মাজার জিয়ারতে যান চট্টগ্রাম-৯ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নওফেল। জিয়ারত শেষে বের হওয়ার সময় চট্টগ্রাম-১০ আসনের বিএনপি প্রার্থী আবদুল্লাহ আল নোমানের সঙ্গে দেখা হলে হাত বাড়িয়ে দেন নওফেল। নোমানও হাত বাড়িয়ে দেন। এরপর তারা কোলাকুলি ও কুশল বিনিময় করেন।
মুক্তিযোদ্ধা আবদুল্লাহ আল নোমান চট্টগ্রামের বিশিষ্ট আওয়ামী লীগ নেতা প্রয়াত আবদুল্লাহ আল হারুনের আপন ভাই এবং ব্যরিস্টার মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল চট্টলবীর সাবেক মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রয়াত আলহাজ এবিএম মহিউদ্দীন চৌধুরীর সন্তান। রাজনৈতিক পরিচয় ভিন্ন হলেও সম্পর্কে তারা নিকট আত্মীয়।
অপরদিকে নগরীর ছোটপুল এলাকার শাপলা কমিউনিটি সেন্টার থেকে প্রচার শুরু করেছেন চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর-পতেঙ্গা) আসনে বিএনপির প্রার্থী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। প্রচারের শুরুতেই সরকার এবং নির্বাচন কমিশন অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের যে ওয়াদা করেছিল, তা মানছে না বলে অভিযোগ করেছেন আবদুল্লাহ আল নোমান।
Advertisement
তিনি বলেন, ‘সোমবার রাত থেকে এ পর্যন্ত এলাকার দশজনের বেশি নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’
এদিকে মাজার জিয়ারত শেষে বিভিন্ন এলাকায় আনুষ্ঠানিক প্রচারে যান ব্যরিস্টার মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। এ সময় তিনি সাধারণ মানুষের সঙ্গে কোলাকুলিকে নৌকার পক্ষে ভোট চান।
তিনি বলেন, ‘জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী। চট্টগ্রামকে ঘিরে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার ব্যাপক উন্নয়নমূলক কাজ করেছে। তাই আশা করি শুধু এ আসন নয়, চট্টগ্রামের ১৬টি আসন জননেত্রী শেখ হাসিনাকে উপহার দিতে পারবো।’
অপরদিকে আনুষ্ঠানিক প্রচার শুরুর আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘নির্বাচনে সবার জন্য সমান ক্ষেত্র নেই। আওয়ামী লীগ নয়, তারা সরকারি দল। তারা সরকারি সংস্থাকে নিয়ে মাঠে নেমেছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যবহার করে এলাকায় ভয়ভীতি দেখানো শুরু করেছে।’
Advertisement
আবু আজাদ/এএইচ/এমকেএইচ