যুবলীগের মতবিনিময় সভায় যোগদানের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে ভোটের মাঠে নামলেন ঢাকা-৭ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী হাজী মো. সেলিম। মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটায় আজিমপুর সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ে গিয়ে যুবলীগের সমর্থন নেন হাজী সেলিম। শুরু করেন নির্বাচনী প্রচারণা।
Advertisement
এদিন দুপুরে ১৫-২০টি গাড়িবহর নিয়ে স্কুলে প্রবেশ করেন তিনি। মতবিনিময় সভা শেষে পুরান ঢাকায় প্রচারণা চালাবেন তিনি।
আজকে আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু হলেও গত ২ সপ্তাহ ধরে নিজ আসনে প্রচারণা চালাচ্ছেন হাজী সেলিম। বোরকা পরে মেয়েরা চকলেট হাতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে হাজী সেলিমের জন্য ভোট চান। রোববার হাজারীবাগ এলাকা ঘুরে এলাকাবাসীকে নিজ হাতে কমলা বিতরণ করেন তিনি। এছাড়াও চকবাজারের পাইকারি ও খুচরা মার্কেটগুলোতে খেজুরের বাক্স পাঠিয়েছেন তিনি।
আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পাওয়ার পর পুরান ঢাকার এই নেতার দুইটি ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়। একটিতে নেচে আরেকটিতে গানের সঙ্গে তাল দিয়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসেন তিনি।
Advertisement
হাজী সেলিম ছাড়াও ঢাকা-৭ আসনে বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করছেন গণফোরামের মোস্তফা মোহসীন মন্টু।
তিনি মঙ্গলবার নিজ আসনের কোনো সড়কে প্রচারণা করেননি, দুপুর পর্যন্ত ছিলেন বাড়িতে। এমনকি রাস্তায় দেখা যায়নি তার কিংবা ধানের শীষে ভোট চাওয়ার কোনো পোস্টার। প্রচারণার বিষয়ে মন্টু জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমি আজ নামবো না। লিফলেট ও পোস্টার ছাপানো এখনো শেষ হয়নি। আগামীকাল প্রচারণায় নামতে পারবো বলে আশা করছি।’
লালবাগ, চকবাজার, বংশাল ও কোতোয়ালি থানা নিয়ে গঠিত ঢাকা-৭ আসন। এই দুই প্রার্থী ছাড়াও আসনের অন্যান্য প্রার্থীরা হলেন বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের খালিকুজ্জামান (মই), জাতীয় পার্টির তারেক আহমেদ আদেল (লাঙ্গল), জাকের পার্টির বিপ্লব চন্দ্র বণিক (গোলাপ ফুল), গণফ্রন্টের মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিন (মাছ), বাংলাদেশ মুসলিম লীগের মো. আফতাব হোসেন মোল্লা (হারিকেন), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. আব্দুর রহমান (হাতপাখা), বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট-বিএনএফের মো. জাহাঙ্গীর হোসেন (টেলিভিশন), ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মো. মাসুদ পাশা (আম), গণফোরামের মো. মোশাররফ হোসেন (উদীয়মান সূর্য), বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মো. হাবিবুল্লাহ (বটগাছ)।
২০১৪ সালের সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে হাতি মার্কায় নির্বাচন করে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিনকে হারিয়ে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন হাজী সেলিম। ২০০৮ সালের নির্বাচনে এই আসনে জয়লাভ করেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন। ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে আসনটি থেকে হাজী সেলিম জয়লাভ করলেও ২০০১ সালের নির্বাচনে তাকে হারিয়ে আলোচিত হন প্রয়াত বিএনপি নেতা নাসিরউদ্দিন আহমেদ পিন্টু।
Advertisement
এআর/এসএইচএস/পিআর