‘ভয়মুক্ত বাংলাদেশ, কার্যকর গণতন্ত্র, সকলের জন্য উন্নয়ন’ স্লোগান নিয়ে আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১২ আসনে প্রচার-প্রচারণা ও গণসংযোগ শুরু করেছেন বাম গণতান্ত্রিক জোট সমর্থিত গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ আব্দুর রহিম সাকি (জোনায়েদ সাকি)।
Advertisement
মঙ্গলবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে রাজধানীর নিউ ইস্কাটন নিজ বাসভবনের সামনে থেকে তিনি গণসংযোগ শুরু করেন।আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১২ আসনে তিনি কোদাল প্রতীক বরাদ্দ পেয়েছেন।
জোনায়েদ সাকি ছাড়াও গণসংহতি আন্দোলনের আরও দুই নেতা- জুলহাসনাইন বাবু পাবনা-১ এবং হাসান মারুফ রুমি চট্টগ্রাম-১০ আসনে নির্বাচন অংশ নিচ্ছেন।
আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটের মাঠে লড়বেন এক হাজার ৮৪১ প্রার্থী। এর মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছে ৯৬ জন। সারাদেশ থেকে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের পাঠানো তথ্য বিশ্লেষণ করে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্বাচন পরিচালনা শাখা থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
Advertisement
রোববার (৯ ডিসেম্বর) ছিল প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন। গত ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত মোট তিন হাজার ৬৫ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। এর মধ্যে আগামী ৩০ ডিসেম্বরের ভোটের লড়াইয়ের জন্য এই এক হাজার ৮৪১ প্রার্থী টিকলেন। বাকিদের মধ্যে কারও মনোনয়ন অবৈধ ঘোষণা করেছে ইসি। কেউ কেউ নিজেই প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন।
নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, এবার ১৯ দিন প্রচার কাজ চালানোর জন্য সময় পাচ্ছেন প্রার্থীরা। কেননা, প্রচার কাজ বন্ধ করতে হবে ২৮ ডিসেম্বর রাত ১২টায়। এবার নির্বাচনে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও জাতীয় পার্টির সবচেয়ে বেশি প্রার্থী দিয়েছে।
ইতোমধ্যে সোমবার প্রার্থিদের প্রতীক বরাদ্দ দিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তারা। নির্বাচন কমিশন সংসদ নির্বাচনের জন্য ৬৪টি প্রতীক সংরক্ষণ করেছে। এর মধ্যে ৩৯টি নিবন্ধিত দলকে দলীয় প্রতীক এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীদের আলাদা প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
নির্বাচনী আচরণ বিধিমালা অনুযায়ী, প্রতীক পেয়েই প্রার্থিরা নির্বাচনী প্রচারণায় আনুষ্ঠানিকভাবে নামতে পারেন। দেশের বিভিন্ন আসন থেকে আমাদের প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, প্রতীক পেয়ে প্রার্থীরা এলাকায় নেমে পড়েছেন। অনেকে পোস্টারও টানানো শুরু করেছেন।
Advertisement
তফসিল অনুযায়ী আগামী ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
এএস/এমবিআর/আরআইপি