দেশজুড়ে

প্রতীক পেয়ে পরিকল্পনার কথা জানালেন ইমরান এইচ সরকার

কুড়িগ্রাম-৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার সোমবার দুপুরে জেলা রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীন’র কাছ থেকে প্রতীক পেয়েই যোগাযোগ শুরু করেছেন এলাকাবাসীর সঙ্গে। উন্নয়নের গতির সঙ্গে তাল রেখে মার্কা বেছে নিয়েছেন মোটর গাড়ি। নির্বাচিত হলে কুড়িগ্রাম-৪ আসনের তিনটি উপজেলার নানান সমস্যা ও সম্ভাবনা মাথায় রেখে বিভিন্ন পরিকল্পনা নিয়ে ভোটের ময়দানে ছুটে বেড়াচ্ছেন এই তরুণ নেতা। রৌমারী, রাজিবপুর ও চিলমারী উপজেলা নিয়ে গঠিত পিছিয়ে পড়া এই এলাকার মানুষের উন্নয়নে তার বেশ কিছু ব্যক্তিগত পরিকল্পনা রয়েছে। একান্তে এই প্রতিবেদককে তিনি জানান, পিছিয়ে পড়া এই অঞ্চলের শতকরা প্রায় ৭২ জন মানুষ নিম্ন আয়ের। বন্যা ও নদী ভাঙনে প্রতিবছর শতশত পরিবার এখানে গৃহহীন হয়। নেই কোনো কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা। সেই কারণে যুব সমাজের মধ্যে হতাশা ও নানান ধরনের অবক্ষয় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এই যুব সমাজ ও নারীদের কথা মাথায় রেখে কর্মসংস্থানের সুযোগের কথা বলেন তিনি। এজন্য এই এলাকা ইকোনমিক জোন করে ইন্ড্রাস্ট্রি ব্যবস্থার উপর জোড় দেন।

Advertisement

এছাড়াও তিনি বলেন, আমার নির্বাচনী এলাকায় প্রধান লক্ষ্য হলো নদী ভাঙন কবলিত পরিবারদের পূনর্বাসিত করার পাশাপাশি নদী শাসনের লক্ষে পূর্ব পাড়ে বাঁধ ও ড্রেজিং করা। যাত্রী সাধারণের পারাপারের সুবিধার্থে চিলমারী-রৌমারী-যাদুরচর ও রাজিবপুরে ফেরী চলাচলের ব্যবস্থা করা।

এর বাইরে আমরা লক্ষ্য করছি ঢাকার সঙ্গে রৌমারীর কোনো রেল যোগাযোগ নেই। আমরা দেওয়ানগঞ্জ থেকে ২৫ কিলোমিটার রেল টেনে আনলেই রৌমারী-রাজিবপুরের মানুষ রেলে ঢাকার সঙ্গে চলাচল করতে পারবে। এছাড়া ঢাকার সঙ্গে সরাসরি চিলমারী ও রৌমারীর রেল যোগাযোগ নেই। এজন্য আন্তঃনগর রেল যোগাযোগ ব্যবস্থার জনদাবিটি পূরণ করা। এতে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড তরান্বিত হবে। সেই সঙ্গে ঢাকা-রৌমারী দুর্বিষহ সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন করা। গ্রামের অনেক রাস্তা বিচ্ছিন্ন হওয়ায় মানুষ হেঁটে যেতে পারে না। গ্রামের সেই সকল সড়কের উন্নতি সাধন করা।

এছাড়াও রৌমারীর স্থল ও চিলমারীর নৌবন্দর ভৌগলিকভাবে খুবই প্রোটেনসিয়াল। এ দুটি বন্দর আন্তর্জাতিকমানের বন্দর হিসেবে পূর্ণাঙ্গভাবে চালু করার উপর জোড় দেন তিনি।

Advertisement

এর বাইরে বৃহৎ চরাঞ্চলের মানুষের এখন পর্যন্ত শিক্ষা, চিকিৎসা, বাসস্থানসহ বিদ্যুতের ব্যবস্থা নেই। এগুলো যদি আমরা চরাঞ্চলের মানুষের জন্য প্রোভাইড করতে পারি তাহলে এলাকার চিত্র পাল্টে যাবে। এজন্য চরাঞ্চলের দিকে বিশেষ নজর দেয়া। সর্বপরি এলাকার বৃহৎ যুব সমাজের জন্য কিছু পরিকল্পনা নেয়া। এসব তরুণদের কারিগরি প্রশিক্ষণের পাশাপাশি চাহিদামতো বিভিন্ন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে যদি বিদেশে পাঠানো যায় তাহলে তারা সমাজের মূল স্ট্রিমে পৌঁছতে পারবে বলে তিনি বিশ্বাস করেন। গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার এজন্য এলাকাবাসীর কাছে ভোটের পাশাপাশি তাদের কাছ থেকে দোয়া ও আশির্বাদ কামনা করেছেন।

নাজমুল/এমএএস/পিআর