দেশজুড়ে

সপ্তম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতুর যাত্রা শুরু

নির্ধারিত সময়ের আগেই যাত্রা শুরু করলো মাদারীপুর-শরীয়তপুর-চাঁদপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের আড়িয়াল খাঁ নদীর ওপর নির্মিত আচমত আলী খান সপ্তম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু।বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ সেতুর উদ্বোধন করেন। এ উপলক্ষে মাদারীপুর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।সেতুটি নির্মাণের ফলে দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে চট্টগ্রামের যোগাযোগের প্রায় ১২০ কিলোমিটার সড়কের দূরত্ব কমেছে।সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্র জানায়, মাদারীপুর সদর উপজেলার কাজীরটেক নামক স্থানে আড়িয়াল খাঁ নদীর ওপর ৬৮৪ মিটার দীর্ঘ সপ্তম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতুটি নির্মাণ করা হয়। চীনের আনহুই কন্সট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং গ্রুপ ২০১৩ সালের মার্চ মাসে নির্মাণ কাজ শুরু করে। এর সঙ্গে আরো চারটি ছোট সেতু ও সাড়ে চার কিলোমিটার দীর্ঘ অ্যাপ্রোচ সড়ক নির্মাণ করা হয়। প্রকল্পটিতে দুইশ ৯৪ কোটি ৩০ লাখ টাকা ব্যয় করা হয়েছে। এর মধ্যে দুইশ কোটি ১৮ লাখ ৩৬ হাজার টাকা চীন সরকার প্রকল্প সহায়তা দিয়েছে। বাকি ৯৪ কোটি ১১ লাখ টাকা বাংলাদেশ সরকার ব্যয় করেছে।জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে সেতুটি উদ্বোধনের সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নৌমন্ত্রী শাজাহান খান, মাদারীপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য কৃষিবিদ আফম বাহাউদ্দিন নাছিম, সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি রোকসানা ইয়াসমিন ছুটি, মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক মো. কামাল উদ্দিন বিশ্বাস প্রমুখ।এ সময় নৌমন্ত্রী শাজাহান খান জানান, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থার অভূতপূর্ব পরিবর্তন আসছে। এর ফলে লঞ্চ, ফেরিসহ অন্যান্য নৌযানের উপর চাপ কমে আসবে। বিকল্প রুট হিসেবে চট্টগ্রাম থেকে মংলা বন্দরের প্রায় ১২০ কিলোমিটার পথ কমে আসবে। ফলে এই সব এলাকায় এক শতাংশ প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধি পাবে বলে আশা প্রকাশ করেন মন্ত্রী।প্রসঙ্গত, আচমত আলী খান সপ্তম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু, টেকেরহাট, টুমচর ও আঙ্গারিয়া সেতুর উদ্বোধন করা হয়। এ সকল সেতু চীনা প্রতিষ্ঠান আনহুই কনস্ট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং গ্রুপ কোম্পানির সার্বিক তত্ত্বাবধানে নির্মিত হয়েছে।এ কে এম নাসিরুল হক/এআরএ/এমআরআই

Advertisement