শেষ মূহূর্তে এসে দলের মনোনয়ন বঞ্চিত হওয়ার বিষয়ে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা তৈমুর আলম খন্দকার বলেছেন, এ বিষয়ে এখন আমি কোনো কথাই বলব না। আমি মুখ খুলব ৩০ ডিসেম্বরের পর। দলের চেয়ারপারসনকে জেল থেকে বের করাই আমাদের এখন বড় লক্ষ্য।
Advertisement
সোমবার সকালে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার রূপসী এলাকায় বিএনপি আয়োজিত এক উঠান বৈঠকে দলীয় মনোনয়ন না পাওয়ার বিষয়টি জানতে চাইলে এসব কথা বলেন তিনি।
তৈমুর আলম খন্দকার বলেন, আবারও প্রমাণ হলো দলের জন্য আন্দোলন-সংগ্রাম কারাবরণ এসব মনোনয়ন পাওয়ার যোগ্যতা নয়। যতবার দলের জন্য জেল খেটেছি ততবার বিএনপির আর কোনো নেতা কারাবরণ করেছেন কিনা খুঁজে পাওয়া যাবে না।
তিনি বলেন, আমি মনোনয়নের জন্য লালায়িত নই। এর আগে, সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ভোট শুরু হওয়ার মাত্র ৮ ঘণ্টা আগে আমাকে নির্বাচন থেকে সরে যেতে বলা হলো। কোনো কথা না বলে আগের দিন রাত ১২টায় নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালাম। আমার কাছে দল বড়। বরাবরই আমি দলের কথা চিন্তা করে সব ধরনের ত্যাগ স্বীকার করে আসছি। এত কিছুর পরও আমি দলীয় প্রার্থীর পক্ষে সবাইকে কাজ করতে বলেছি। কারণ আমাদের একমাত্র লক্ষ্য বেগম খালেদা জিয়াকে জেল থেকে বের করে আনা। এ জন্য প্রয়োজন নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থীর বিজয়। তাই আমি বিএনপির সব পর্যায়ের নেতাকর্মীকে অনুরোধ করব, সব কিছু ভুলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে বিএনপির দলীয় প্রার্থীকে জয়ী করুন। বিএনপি প্রার্থীকে জয়ী করতে সবাই মাঠে নামুন। আমি আপনাদের সঙ্গে ছিলাম, আছি এবং থাকব।
Advertisement
প্রসঙ্গত, নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনে কাজী মনিরুজ্জামান মনিরকে শনিবার বিকেলে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণার পর বিক্ষোভে ফেটে পড়েন তৈমুর আলমের সমর্থকরা। এ নিয়ে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয়ে বিক্ষোভ করে ভাঙচুর করেন বিএনপির মনোনয়ন বঞ্চিতদের অনুসারীরা। এরই মধ্যে রাগ-ক্ষোভ ভেঙে দলীয় প্রার্থীকে মেনে নিয়ে বিএনপির পক্ষে নির্বাচনী মাঠে নামলেন মনোনয়ন বঞ্চিত তৈমুর আলম খন্দকার।
মীর আব্দুল আলীম/এএম/এমকেএইচ