টেস্ট ক্রিকেটের বিজ্ঞাপন যাকে বলে। অ্যাডিলেডে ভারত আর অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার রোমাঞ্চকর এক লড়াই দেখল ক্রিকেট বিশ্ব। যে লড়াইয়ে শেষ হাসি হেসেছে বিরাট কোহলির ভারত। জিতেছে ৩১ রানে। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে দীর্ঘ ১০ বছর পর।
Advertisement
কোহলির দলের এমন পারফরম্যান্স নিঃসন্দেহে প্রশংসা পাবার যোগ্য। তবে যেহেতু ম্যাচটা খুব 'ক্লোজ' ছিল। তাই অনেক ছোট বিষয়ও বড় হিসেবে দেখা হতেই পারে। অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক রিকি পন্টিং যে অভিযোগ তুলেছেন, সেটাকে অবশ্য ওত ছোট হিসেবে দেখারও সুযোগ নেই।
পন্টিংয়ের মতে, ম্যাচে ভারতীয় বোলার ইশান্ত শর্মার বেশ কয়েকটি ‘নো বল’ হয়েছে। আর আম্পায়াররা বারবার সেটি এড়িয়ে গেছেন। গুরুতর পক্ষপাতিত্বের অভিযোগই।
টেস্টের চতুর্থ দিন অজি ওপেনার অ্যারন ফিঞ্চ ‘নো বল’ বদৌলতে বেঁচে গিয়েছিলেন। তিনি আউট হলেও পরে সন্দেহ থাকায় রিপ্লে দেখেন আম্পায়াররা। তাতেই দেখা যায়, ওভারস্টেপিং করেছেন বোলার ইশান্ত। জীবন পান ফিঞ্চ। অজি ওপেনার অবশ্য সেই জীবনকে কাজে লাগাতে পারেননি। ৩৫ বলে ১১ রান করে রবিচন্দ্রন অশ্বিনের শিকার হন তিনি।
Advertisement
তবে একটি বিতর্ক উঠেছে। সেটা হলো-আম্পায়াররা কেন শুধু আউট হলেই ‘নো বল’ চেক করবেন। এমনিতে ‘নো’ হলে কি সেটা বৈধ? রিকি পন্টিংয়ের অভিযোগ, ম্যাচে এমন অনেকগুলো ‘নো বল’ই হয়েছে, যেগুলো আম্পায়াররা দেখেননি বা খেয়াল করেননি।
অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক বলেন, ‘আমি অনেক বছর ধরেই এটা বলে আসছি। আমি সত্যিকার অর্থেই মনে করি না যে, আম্পায়াররা এখন আর ফ্রন্ট লাইন দেখছেন।’
ইশান্তের কিছু বল ৪ থেকে ৬ ইঞ্চি ওভারস্টেপ করে গেছে বলে অভিযোগ তার, ‘আমরা কয়েকটা বল দেখেছি, তার পা ৪-৬ ইঞ্চি লাইনের বাইরে ছিল। আমার মনে হয় না, আম্পায়াররা এসব দেখছেন। কারণ তারা এটার ব্যাপারে উদাসীন।’
ক্লোজ কলের ব্যাপারে অবশ্য আম্পায়ারকে অভিযুক্ত করছেন না পন্টিং। কিন্তু যেগুলো অনেক বেশি দূরে চলে যাচ্ছে, সেগুলো না দেখাটাকে অন্যায়ই মনে করছেন তিনি, ‘আমরা এখন জানি, যদি উইকেট পড়ে তবেই সেটা দেখা হয়। আমি এটাকে সঠিক মনে করি না। নো বল দেখাও কিন্তু আম্পায়ারিংয়ের অংশ। আমি বলছি না, সবগুলোই খুঁজে বের করতে হবে। কিন্তু যখন আপনি ছয় ইঞ্চি দূরে চলে যাবেন, তখন তো সেটা ডাকা উচিত।’
Advertisement
এমএমআর/পিআর