রাজনীতি

আমাদের দু-একজন সরকারের কোলে বসে আছে : নজরুল

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, ‘আমাদের মধ্যে দু-একজন আছেন, যারা সরকারের বিরুদ্ধে কড়া কড়া কথা বলেছেন, এখন দেখলাম সরকারের কোলে বসে আছে।’

Advertisement

তিনি বলেন, ‘তাদের এমপি হবার এতই শখ যে, তার জন্য এত দিনের কথা সব বদলাতে হলো। তাতে আমাদের কিছুই আসে যাবে না, কারণ সিদ্ধান্ত দেয়ার মালিক দেশের জনগণ এবং আসল সিদ্ধান্ত দেয়ার মালিক আল্লাহতায়ালা।’

সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদল আয়োজিত ‘সর্বজনীন ন্যায়বিচার, বাক স্বাধীনতা, অবাধ গণতন্ত্র’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলে।

নজরুল বলেন, ‘দেশের জনগণ স্থির করে ফেলেছে তারা ভোট দিতে যাবে এবং তাদের পছন্দের ধানের শীষে ভোট দেবে। আগামী ৩০ ডিসেম্বর ভোটের মাধ্যমে জনগণ খুন, গুম, হত্যা, মামলার জবাব দেবে। আর এতে আমরা আশা করি, ধানের শীষের জয় হবে।’

Advertisement

তিনি বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষে হাজারো যুক্তি থাকা সত্ত্বেও নিম্ন আদালত তার মুক্তি অসম্ভব করে তুলেছে। উচ্চ আদালতে জামিন হওয়া সত্ত্বেও নিম্ম আদালত সরকারে অধীনে। অর্থাৎ এই কাজটা করেছে সরকার। সরকার বেগম খালেদা জিয়াকে বের হতে দিচ্ছে না। কারণ তারা বেগম জিয়াকে ভয় পায়, ভয় পায় তার জনপ্রিয়তাকে।’

বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘সরকার আমাদের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে গায়েবী মামলা দেবে। পরবর্তীতে উচ্চ আদালত যদি আমাদের জামিনও দেন এতে সরকার পক্ষ সন্তুষ্ট না। আমাদের জেলেই পাঠাতে হবে! কারণ নির্বাচন সামনে, আমাদের এই নেতাকর্মীদের যদি জেলে দেয়া না হয়, তাহলে তাদের জয়ের কোনো সুযোগ নাই।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, সরকার ভেবেছিল, বেগম জিয়াকে জেলে নিলে বিএনপি ভেঙে যাবে। কিন্তু না বিএনপি আগের থেকে অনেক বেশি শক্তিশালী হয়েছে। অনেক রাজনীতিক দল বিএনপির নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। এবং তারা এক জোটে সংঘবদ্ধ হয়ে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে।’

প্রতীক বরাদ্দের পর সরকার সমানভাবে কাজ করতে দেবে না এমন আশঙ্কা প্রকাশ করে নজরুল বলেন, ‘সরকার এই সুযোগ সৃষ্টিতে বাধা দিবে কারণ তারা জানে তাহলে তাদের জেতার কোনো সুযোগ নাই। যদি এমন হয় গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় এ বাধা অতিক্রম করতে হবে।’

Advertisement

সরকারের সমলোচনা করে তিনি আরও বলেন, ‘একজন রাষ্ট্রীয় খরচে নির্বাচনী প্রচারণ চালাচ্ছে। অন্যজনকে কারাগারে আবদ্ধ রাখা হয়েছে। এ অবস্থায় মানবাধিকার সনদের সাথে কোনোভাবে সামঞ্জস্য হয় না। সব মানুষের সমান অধিকার- এটা হচ্ছে মানবাধিকারের মূল কথা কিন্তু এই সরকার মানুষকে সমান অধিকার দিচ্ছে না।’

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে শ্রমিক দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা বক্তব্য দেন।

কেএইচ/এমবিআর/পিআর