জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিক্কি হ্যালি বলেছেন, বিশ্বের সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ডের মদদ ও আশ্রয় দাতা পাকিস্তানকে আর এক ডলারও দেবে না ওয়াশিংটন। যদি ইসলামাবাদ নিয়মিত এভাবে সন্ত্রাসবাদী কার্যক্রমে মদদ দিতে থাকে তাহলে দেশটির বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র আরও কঠোর পদেক্ষেপ নিতে বাধ্য হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
Advertisement
নিক্কি হ্যালি বলেন, ‘ওয়াশিংটন সেসব দেশকে অর্থ সহায়তা দেবে না যারা যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষতি চায়। কোন দেশগুলো যুক্তরাষ্ট্রের অংশীদার হবে সে সম্পর্কে একটা কৌশলগত অবস্থান আছে আমাদের। আমি মনে করছি অন্ধভাবে কোনো চিন্তা-ভাবনা ছাড়াই অর্থ সহায়তা দিয়ে আসছি তাদের। কিন্তু এটা আমাদের কৌশলগত অবস্থানের বিপক্ষে চলে যাচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি আপনাদের পাকিস্তানের কথা বলতে চাই। আমরা তাদেরকে কোটি কোটি ডলার অর্থ সহায়তা দিচ্ছি। কিন্তু তারা সন্ত্রাসীদের আশ্রয় দিয়ে যাচ্ছে। এমনকি তারা আমাদের সেনাদেরও হত্যা করছে। যা কোনোভাবেই ঠিক নয়। এ ধরনের অবস্থান পরিবর্তন না করলে তাদেরকে আর এক ডলারও দেয়া হবে না। এমন শত শত কোটি টাকা নিশ্চয়ই কোনো অল্প পরিমাণ অর্থ নয়।’
তিনি বলেন, ‘আমরা তাদেরকে (পাকিস্তানকে) অর্থ সহায়তা দেয়ার আগে তারা এসব কর্মকাণ্ড করে আসছিল। আর এজন্যই সন্ত্রাসবাদী এসব কার্যক্রম বন্ধে তাদেরকে অর্থ সহায়তা দেয়া শুরু করি আমরা। কিন্তু তারা তাদের প্রতিশ্রুতি রাখেনি।’
Advertisement
চলতি বছরের শেষে জাতিসংঘে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের পদের মেয়াদ শেষ হবে হ্যালির। তার স্থলাভিষিক্ত হবেন মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ও ফক্স নিউজের সাবেক সংবাদ উপস্থাপক হিথার নওয়ার্ট।
নিকি হ্যালি গত অক্টোবরে ঘোষণা দিয়েছেন, চলতি বছরের শেষে জাতিসংঘের পদ থেকে ইস্তফা দেবেন তিনি। সাউথ ক্যারোলিনা অঙ্গরাজ্যের সাবেক গভর্নর ৪৬ বছর বয়সী নিক্কি হ্যালি গত দুই বছর জাতিসংঘে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করেছেন।
চলতি বছরের নভেম্বরে ট্রাম্প প্রশাসন পাকিস্তানের সামরিক খাতে দেয়া ৩০০ মিলিয়ন অর্থ সহায়তা বন্ধের ঘোষণা দেয়। তাদের দাবি ইসলামাবাদ সন্ত্রাসবাদী কার্যক্রমে আশানুরুপ ফল দেখাতে পারেনি। এমনকি তারা এখনও তাদের দেশে সন্ত্রাসীদের মদদ দিয়ে যাচ্ছে।
এসএ/জেআইএম
Advertisement