রাজনীতি

বিএনপি ২৪২, দুই জোটকে ৫৮

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শরিকদের জন্য ৫৮টি আসন ছেড়ে দিয়েছে বিএনপি। ২৪২টি আসনে লড়বেন বিএনপির প্রার্থীরা। ৩০০ আসনের মধ্যে ২৯৮টিতে ধানের শীষ প্রতীকে বিএনপি ও শরিক দলের প্রার্থীরা নির্বাচন করবেন। ২০ দলীয় জোটের নেতা ও লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) অলি আহমেদ নির্বাচন করছেন নিজ দলের ‘ছাতা’ প্রতীকে। আরেকটি আসনে একজন লড়বেন স্বতন্ত্র প্রতীক নিয়ে।

Advertisement

শরিকদের ও দলের মনোনয়নের পূর্ণাঙ্গ তালিকা রোববার বিকেলে নির্বাচন কমিশনে পাঠায় বিএনপি। তালিকাটি দেখতে ক্লিক করুন

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শরিক গণফোরামকে সাতটি, জেএসডিকে চারটি, নাগরিক ঐক্যকে চারটি এবং কৃষক শ্রমিক জনতা লীগকে চারটি আসন ছেড়ে দিয়েছে বিএনপি। জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট পেল সর্বমোট ১৯টি আসন।

অন্যদিকে ২০ দলীয় জোটের শরিক জামায়াতে ইসলামীকে ২২টি, এলডিপিকে পাঁচটি, খেলাফত মজলিশকে দুটি, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামকে তিনটি, জাতীয় পার্টিকে (কাজী জাফর) দুটি, বিজেপি, কল্যাণ পার্টি, এনপিপি, লেবার পার্টি, পিপিবিকে একটি করে আসন ছেড়ে দিয়েছে বিএনপি। ফলে ২০ দলীয় জোট ৩৯টি আসন পেল।

Advertisement

জানা গেছে, বিএনপিকে নিয়ে গঠিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীরা ‘ধানের শীষ’ প্রতীক নিয়ে এবারের নির্বাচনে লড়বেন। ২০ দলীয় জোটের প্রার্থীরাও ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। শুধু চট্টগ্রাম -১৪ আসনে এলডিপির প্রধান অলি আহমেদ নিজের দলের ‘ছাতা’ প্রতীক ও কক্সবাজার-২ জামায়াতের হামিদুর রহমান আজাদ স্বতন্ত্র প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করবেন।

ঐক্যফ্রন্টের যারা চূড়ান্ত মনোনয়ন পেলেন

জেএসডি : আ স ম আবদুর রব (লক্ষীপুর-৪), আবদুল মালেক রতন (কুমিল্লা-৪), শহিদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন (ঢাকা-১৮), সাইফুল ইসলাম (কিশোরগঞ্জ-৩)।

কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ : বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর মেয়ে কুঁড়ি সিদ্দিকী ( টাঙ্গাইল-৮), লিয়াকত আলী (টাঙ্গাইল-৪), ইকবাল সিদ্দিকী (গাজীপুর-৩), মনজুরুল ইসলাম (নাটোর-১)।

Advertisement

গণফোরাম : সুব্রত চৌধুরী (ঢাকা-৬), মোস্তফা মহসিন মন্টু (ঢাকা-৭), এএইচএম খালেকুজ্জামান (ময়মনসিংহ-৮), রেজা কিবরিয়া (হবিগঞ্জ-১), অধ্যাপক আবু সাঈয়িদ (পাবনা-১), আমসা আমিন (কুড়িগ্রাম-২), সুলতান মো. মনুসর আহমেদ (মৌলভীবাজার-২)।

নাগরিক ঐক্য : মাহমুদুর রহমান মান্না (বগুড়া-২), এসএম আকবর (নারায়ণগঞ্জ-৫), শাহ রহমত উল্লাহ (রংপুর-১), নুরুর রহমান জাহাঙ্গীর (বরিশাল-৪)। তবে প্রথমে নাগরিক ঐক্যের গোলাম রাব্বানীকে (রংপুর-৫) ধানের শীষের চিঠি দেয়া হয়। পরে এই আসনে জামায়াতের প্রার্থী গোলাম রাব্বানীকে ধানের শীষের সংশোধনী চিঠি দেয়া হয়।

রংপুর-৫ আসনে আসনে নাগরিক ঐক্যের প্রার্থী মোফাখখারুল ইসলামকেও ধানের শীষ প্রতীক দিয়ে চিঠি দিয়েছিলেন বিএনপি মহাসচিব। পরে মহাসচিবের স্বাক্ষরিত সর্বশেষ চিঠিতে মোফাখখারুল ইসলামের পরিবর্তনে রাব্বানীকে প্রতীক দিতে অনুরোধ জানানো হয়।

২০ দলীয় জোট

বিজেপি : ঢাকা-১৭ আসনে বিজেপির আন্দালিব রহমান পার্থ।

এনপিপি : নড়াইল-২ আসনে ফরিদুজ্জামান ফরহাদ।

পিপিবি : রংপুর-৩ আসনে রিটা রহমান।

কল্যাণ পার্টি : চট্টগ্রাম- ৫ আসনে কল্যাণ পার্টির সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম।

এলডিপি : চট্টগ্রাম- ১৪ আসনে এলডিপির অলি আহমেদ, চট্টগ্রাম- ৭ মো. নুরুল আলম, কুমিল্লা- ৭ রেদোয়ান আহমেদ, লক্ষীপুর- ১ সাহাদাত হোসেন সেলিম, ময়মনসিংহ-১০ সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ।

খেলাফত মজলিস : হবিগঞ্জ-৪ আসনে আহমেদ আবদুল কাদের ও নারায়ণগঞ্জ-৪ আবদুল বাসিদ আজাদ।

জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম : সুনামগঞ্জ- ৩ আসনে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামীর শাহিনুর পাশা, হবিগঞ্জ-২ আবদুল বাসিদ আজাদ, যশোর-৫ মুফতি মোহাম্মদ ওয়াক্কাস।

জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) : গাইবান্ধা-৩ আসনে টিআই ফজলে রাব্বী, কুষ্টিয়া-২ আহসান হাবিব লিংকন।

লেবার পার্টি : মোস্তাফিজুর রহমান ইরান (পিরোজপুর-২)

জামায়াত ইসলামী : ঠাকুরগাঁও-২ মাওলানা আবদুল হাকিম, দিনাজপুর-১ মাওলানা মোহাম্মদ হানিফ, দিনাজপুর-৬ মোহাম্মদ আনোয়ারুল ইসলাম, নীলফামারী-২ মুক্তিযোদ্ধা মনিরুজ্জামান মন্টু, নীলফামারী-৩ মোহাম্মদ আজিজুল ইসলাম, রংপুর-৫ অধ্যাপক গোলাম রব্বানী, গাইবান্ধা-১ মাজেদুর রহমান সরকার, সিরাজগঞ্জ-৪ মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, পাবনা-৫ মাওলানা ইকবাল হুসাইন, ঝিনাইদহ-৩ অধ্যাপক মতিয়ার রহমান, যশোর-২ আবু সাঈদ মুহাম্মদ শাহাদাত হোসাইন, বাগেরহাট-৩ অ্যাডভোকেট আবদুল ওয়াদুদ, বাগেরহাট-৪ অধ্যাপক আবদুল আলীম, খুলনা-৫ অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, খুলনা-৬ মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, সাতক্ষীরা-২ মুহাদ্দিস আবদুল খালেক, সাতক্ষীরা-৪ গাজী নজরুল ইসলাম, পিরোজপুর-১ শামীম সাঈদী, ঢাকা-১৫ ডা. শফিকুর রহমান, কুমিল্লা-১১ ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের, চট্টগ্রাম ১৫ আ ন ম শামসুল ইসলাম এবং কক্সবাজার-২ হামিদুর রহমান আজাদ।

সর্বশেষ গত ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নবম সংসদ নির্বাচনে বিএনপি ২৫৯টি আসনে এককভাবে দলীয় প্রার্থী মনোনয়ন দেয়। ওই নির্বাচনে জোটের শরিক জামায়াতে ইসলামীসহ শরিকদের ৪১টি আসন ছেড়ে দিয়েছিল।

কেএইচ/জেডএ/আরআইপি