জাতীয়

সমন্বয়হীনতায় পিছিয়ে যাচ্ছে জিআই অন্তর্ভুক্তিকরণ

সমন্বয়হীনতার কারণে ভৌগলিক বৈশিষ্ট্য পণ্য (জিআই) অন্তর্ভূক্তীকরণ পিছিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি হোসাইন খালেদ।বৃহস্পতিবার ঢাকা চেম্বারের অডিটোরিয়মে ডিসিসিআই ও বাংলাদেশ ফরেন ট্রেড ইনস্টিটিউট (বিএফটিআই) আয়োজিত ভৌগলিক বৈশিষ্ট্য পণ্য (জিআই) শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।তিনি বলেন, জিআই পণ্য নিয়ে বিতর্কে গিয়ে আগামী দুই তিন মাসের মধ্যে ২০টি পণ্য হলেও আমাদের জিআই অন্তর্ভূক্ত করতে হবে। বিলম্ববের কারণে আমাদের অনেক ঐতিহ্যবাহী পণ্য অন্যান্য দেশ তাদের পণ্য হিসেবে জিআই অন্তর্ভূক্ত করেছে। তাই এসব ক্ষেত্রে সকলকে একমত হওয়ার পরামর্শ দেন হোসাইন খালেদ।   প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, ঐতিহ্য রক্ষায় দেশের পণ্য জিআই অন্তর্ভূক্ত প্রয়োজন।  তিনি বলেন, সব ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মর্যাদা পাচ্ছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ যেসব পণ্য জিআই মানের রয়েছে সে সব পণ্যকে জিআই অন্তর্ভূক্ত করতে হবে।তিনি বলেন, তৈরি পোশাক, খাদ্যপণ্য, শিল্প পণ্য, সংস্কৃতি অর্জন কুড়িয়েছে।বাংলাদেশের উত্থান কোন কোন দেশ ভালো চোখে দেখে না। এ সময় তিনি বলেন,  যে বাংলাদেশ খাদ্যে ঘাটতি ছিলো, সে বাংলাদেশ খাদ্য রফতানি করছে।  বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে জিআই অন্তভুক্তিকরণ জরুরি বলেও জানান তিনি।ঢাকা চেম্বারের সভাপতি হোসাইন খালেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন, বিএফটিআই প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আলী আহমেদ। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিএফটিআই সিনিয়র ফেলো ড. মোহাম্মাদ আবু ইউসুফ ও রিচার্স অ্যাসোসিয়েট শেখ রুখসানা বোরহান।মূল প্রবন্ধে ড. মোহাম্মাদ আবু ইউসুফ বলেন, প্রত্যেক দেশেই জিআই অনুযায়ী সে দেশের পণ্যকে মূল্যায়ন করা হচ্ছে। বাংলাদেশে ২০১৩ সালে এ বিষয়ে আইন করা হয়। জিআই পণ্যের  মেয়াদ ৫ বছর। তবে ৩ বছর বছর নবায়ন করতে হবে।তিনি তার প্রবন্ধে বলেন, পদ্মার ইলিশ, কুমিল্লার রসমালাই, দিনাজপুরের লিচু ও চাল, রাজশাহীর সিল্ক,  নরসিংদীর লুঙ্গি,  মিরপুরের কাতান, বগুড়ার দই, বরিশালের আমড়া ও পান,  নাটোরের রসগোল্লা, ভোলার মহিষের দুধ, সুন্দরবনের মধু। এছাড়া নকশীকাঁথা, কাটারীভোগ চাল, কালিজিরা, ফজলী  ল্যাংরা, হিমসাগর, চমচমসহ অসংখ্য পণ্য আছে যা ঐতিহ্য বহণ করে আসছে।অনুষ্ঠানে আলোচনায় অংশ নেয় পেটার্নস ডিজাইন ও ট্রেডমার্ক বিভাগের ডেপুটি রেজিস্টার্ড ইলিয়াস হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. তৌহিদুল ইসলাম, সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) রিচার্স অ্যাসোসিয়েট উম্মে শেফা রেজবানা প্রমুখ।অনুষ্ঠানে পেটার্নস ডিজাইন ও ট্রেডমার্ক বিভাগের ডেপুটি রেজিস্টার্ড ইলিয়াস হোসেন বলেন, প্রাকৃতিক, কৃষিজাত ও শিল্পপণ্যও জিআই হতে পারে। জিআইতে এলাকা ভিত্তিক পণ্যের নাম আসা উচিৎ। এটির পণ্যের মালিকানা থাকতে পারে না। সরাসরি সরকার যেখানে জড়িত না থাকবে সেখানে অথাজারাইজ ইউজার হিসেবে স্থানীয় নাম ব্যবহার হতে পারে।এসআই/এসকেডি/পিআর

Advertisement