আন্তর্জাতিক

খাশোগির মৃত্যুর পরেও আলাপ চালিয়ে গেছেন কুশনার-সৌদি প্রিন্স

সৌদির ভিন্ন মতাবলম্বী সাংবাদিক জামাল খাশোগির হত্যাকাণ্ডের পরেও ক্রাউন প্রিন্স মোহম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জামাতা এবং তার ঊর্ধ্বতন উপদেষ্টা জেয়ার্ড কুশনার।

Advertisement

খাশোগি হত্যাকাণ্ডের পর বিশ্বের অনেক নেতাই মোহাম্মদ বিন সালমানকে এড়িয়ে চলতে শুরু করেন। কিন্তু তার সঙ্গে ব্যক্তিগত আলোপ-আলোচনা চালিয়ে গেছেন কুশনার।

নিউ ইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জামাল খাশোগির মৃত্যুর বিষয়েও ক্রাউন প্রিন্স সালমান এবং কুশনারের মধ্যে আলাপচারিতা হয়েছে।

খাশোগির মৃত্যুর ঘটনায় কিভাবে এই কঠিন পরিস্থিতি সামলাবেন এ বিষয়ে ক্রাউন প্রিন্সকে পরামর্শ দেয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন কুশনার। এই আলোচনার বিষয়ে জানে এমন একটি সৌদি সূত্রের বরাত দিয়ে শনিবার এই প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে নিউ ইয়র্ক টাইমস।

Advertisement

দু'জন মার্কিন কর্মকর্তা এবং সৌদির দু'জনের বিবৃতির উদ্বৃতি দিয়ে নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হোয়াইট হাউসে যথেষ্ট প্রটোকল থাকে এবং জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের সদস্যরা যে কোন বিদেশি নেতার সঙ্গে কুশনারের ফোনালাপের সময় উপস্থিত থাকেন। কিন্তু খাশোগি হত্যার পরেও বিন সালমান এবং কুশনার নিজেদের মধ্যে অনানুষ্ঠানিক আলাপচারিতা চালিয়ে গেছেন।

এ বিষয়ে তাৎক্ষনিকভাবে হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে কোন সাড়া পাওয়া যায়নি। তবে হোয়াইট হাউসের এক মুখপাত্র নিউ ইয়র্ক টাইমসকে দেয়া এক বিবৃতিতে বলেন, এমবিএস হিসেবে পরিচিত ক্রাউন প্রিন্স এবং অন্যান্য বিদেশি নেতার সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে সব সময়ই নিখুঁত প্রটোকল এবং গাইডলাইন মেনে চলেন কুশনার।

তবে এই প্রটোকল এবং গাইডলাইনের বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে হোয়াইট হাউস। তুরস্কের ইস্তাম্বুল শহরের কনস্যুলেটে জামাল খাশোগি নিখোঁজ হওয়ার পর ক্রাউন প্রিন্স সালমানকে ফোন করেছিলেন কুশনার এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন।

তারা আরও বেশি তথ্য জানতে চেয়েছিলেন এবং তদন্ত প্রক্রিয়া যেন আরও স্বচ্ছ হয় সে বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়েছিল বলে এক বিবৃতিতে উল্লেখ করেছেন হোয়াইট হাইসের প্রেস সেক্রেটারি সারাহ স্যান্ডার্স।

Advertisement

টিটিএন/পিআর