সরকারের হুকুমেই বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে বলে দাবি করে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেছেন, ‘নির্বাচন কমিশনে একজন কমিশনারের সঠিক রায়কে উপেক্ষা করে স্বার্থসন্ধানী প্রধান নির্বাচন কমিশনারের নেতৃত্বে বাকি কমিশনাররা বিভক্ত ও প্রশ্নবিদ্ধ আদেশ দিয়ে মনোনয়নপত্র বাতিল করেছেন।’
Advertisement
রোববার সকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেন, ‘গতকাল (শনিবার) আপিল শুনানি চলাকালে আইনগতভাবে ন্যায়ের পক্ষে রায় না দিয়ে বিনা কারণে সময়ক্ষেপণ করেছে নির্বাচন কমিশন। সংবাদ পেয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের নোয়াখালী থেকে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বলেন, আইনগতভাবে খালেদা জিয়া নির্বাচন করতে পারবেন না। এর এক ঘণ্টার মধ্যেই আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানকের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দল নির্বাচন কমিশনে ছুটে যান এবং নির্বাচন কমিশনকে বেগম খালেদা জিয়ার মনোনয়ন বিষয়ে সতর্ক করেন।’
তিনি বলেন, ‘প্রতিনিধি দল সাংবাদিকদের সামনে বলেন, ইসিকে সতর্ক করতেই তারা কমিশনে এসেছেন এবং আরও বলেন, সাংবিধানিকভাবে বেগম খালেদা জিয়ার নির্বাচন করার কোনো সুযোগ নেই। এর কয়েক ঘণ্টা পরেই নির্বাচন কমিশন বেগম খালেদা জিয়ার মনোনয়ন বাতিল করে। মূলত দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মনোনয়ন বাতিলের নির্দেশনা দিতেই আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দল সেখানে গিয়েছিলেন।’
Advertisement
আওয়ামী লীগ সবসময় বেগম খালেদা জিয়ার জনপ্রিয়তাকে নিয়ে আতঙ্কে ভুগছে উল্লেখ করে রিজভী আহমেদ বলেন, ‘আইনগতভাবে বেগম খালেদা জিয়ার নির্বাচন করতে কোনো বাধা না থাকলেও গভীর চক্রান্ত ও মাস্টারপ্ল্যানের অংশ হিসেবেই গতকাল নির্বাচন কমিশন তার মনোনয়ন বাতিল ঘোষণা করেছে।’
তিনি বলেন, ‘সিইসির নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশন অনেক দণ্ডপ্রাপ্ত লোকের মনোনয়ন বৈধ বলে ঘোষণা করেছেন। ১৩ বছরের সাজাপ্রাপ্ত পংকজ দেবনাথ, হাজি সেলিম, মহিউদ্দিন খান আলমগীর (ম খা আলমগীর) এবং নাজমুল হুদাসহ অনেকেরই মনোনয়ন বৈধ বলে ঘোষণা করেছে ইসি। তাহলে বেগম জিয়ারটা নয় কেন? নয় এজন্য যে, বেগম খালেদা জিয়ার মনোনয়ন অবৈধ করতে সিইসির প্রতি শেখ হাসিনার নির্দেশ ছিল। আইনসম্মতভাবেই দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া মনোনয়ন পাওয়ার যোগ্য।’
সাবেক এই ছাত্রনেতা বলেন, ‘এই নির্বাচন হলো আমাদের আন্দোলন। ভোটের আন্দোলন। আমাদের দায়িত্ব হলো বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি তথা দেশকে মুক্ত করার এই আন্দোলনের ভোটে কোন ধরনের অভিমান রাখা যাবে না। বেগম জিয়ার মুক্তি ও দেশের স্বার্থে সবাইকে নির্বাচনে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।’
কেএইচ/এসআর/পিআর
Advertisement