প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বেগম রোকেয়ার স্বপ্ন বৃথা যেতে দেইনি দেব না। রোকেয়া স্বপ্ন দেখেছিলেন, বাংলাদেশের মেয়েরা জজ হবে, ব্যারিস্টার হবে, বিচারপতি হবে। অাজ প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে সচিব, মেজর জেনারেল সবই হচ্ছে মেয়েরা। অামরা বেগম রোকেয়ার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করছি। অধিকার কেউ দেয়া না, অধিকার অাদায় করে নিতে হয়। মেয়েদের অধিকার অাদায় করে নিতে হবে।’
Advertisement
রোকেয়া দিবস উপলক্ষে অাজ রোববার সকাল ১০টায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে রোকেয়া পদক-২০১৮ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সালে সরকার পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে আমরা দেশে নারী শিক্ষার প্রসার, নারীর আর্থসামাজিক উন্নয়ন, নারীর ক্ষমতায়নে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। আমরা নারী উন্নয়ন নীতি-২০১১ প্রণয়ন করে তা বাস্তবায়ন করছি।
তিনি বলেন, বাল্যবিবাহ নির্মূলের জন্য ‘বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন-২০১৭’ প্রণয়ন করা হয়েছে। নারী শিক্ষার প্রসারে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত মেয়েদের শিক্ষা অবৈতনিক করা হয়েছে। উপবৃত্তি, শিক্ষার হার বৃদ্ধি, বিনামূল্যে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ, শিক্ষার্থী ঝরে পড়া রোধ এবং জেন্ডার সমতায় সরকার প্রত্যক্ষ ভূমিকা রাখছে। এর ফলে নারীরা আজ কর্মমুখী। বেড়েছে নারীদের কর্মসংস্থান। নারীরা হয়েছে সাবলম্বী।
Advertisement
শেখ হাসিনা অারও বলেন, বাংলাদেশের মেয়েরা অাজ সকল স্তরে সুযোগ পাচ্ছে। নারীরা অাজ পুলিশ, বিজিবি, এসপি, ডিসি, সচিব, বিচারপতি, সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীতে নিয়োজিত অাছেন, শান্তি রক্ষা মিশনে দক্ষতার সঙ্গে কাজ করছে। অাজ প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার, বিরোধীদলীয় নেত্রী, উপনেতা সবাই নারী।
তিনি বলেন, অামেরিকা এতবড় দেশ। সেখানে কিন্তু একজন নারী প্রেসিডেন্ট তারা করতে পারেনি। সেদিক থেকে অামরা অনেক এগিয়ে অাছি।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের অাফরোজ চুমকি। স্বাগত বক্তব্য রাখেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাসিমা বেগম এনডিসি।
এবার যাদের রোকেয়া পদকে ভূষিত করা হয়েছে তারা হলেন- সাবেক মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী জিন্নাতুনন্নেসা তালুকদার, প্রফেসর জোগরা আনিস, শীলা রায়, রমা চৌধুরী (মরনোত্তর) ও রোকেয়া বেগম। পদকপ্রাপ্তদের প্রত্যেকে ২৫ গ্রাম স্বর্ণের একটি পদক, সার্টিফিকেট ও দুই লাখ টাকা করে দেয়া হয়।
Advertisement
অনুষ্ঠানে পদকপ্রাপ্ত জিন্নাতুনন্নেসা তালুকদার অনুভুতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন। তিনি তার পদক বাংলাদেশের নারী সমাজকে উৎসর্গ করেন।
এফএইচএস/এমবিআর/পিআর