ইনিংস সূচনা করবেন তামিম ইকবাল ও ইমরুল কায়েস- এ ব্যাপারে আগে থেকেই নিশ্চিত করে রেখেছিল টিম ম্যানেজম্যান্ট। চিন্তাভাবনা ও গবেষণার খোরাক ছিলো তিনে খেলবেন কে? এ পজিশনের জন্য সম্ভাব্য দাবীদার ছিলেন লিটন দাস ও সৌম্য সরকার। এ দুইজনের কাকে রেখে কাকে খেলানো হবে তা ঠিক করতেই টিম ম্যানেজম্যান্টের যতো চিন্তাভাবনা।
Advertisement
বৃহস্পতিবার প্রস্তুতি ম্যাচে অপরাজিত সেঞ্চুরি হাঁকানোর পর পাল্লা ঝুঁকে গিয়েছিল সৌম্যের দিকে। তাকে নিয়েই ভাবা হচ্ছিলো প্রথম ওয়ানডের মূল একাদশের কথা। এরই ৪৮ ঘণ্টা পরে টপঅর্ডারে ডানহাতি-বাঁহাতি কম্বিনেশন ও সামর্থ্যের কথা ভেবে লিটনকেই তিন নম্বরে খেলানোর কথা ঠিক করা হয়।
কিন্তু ম্যাচ শুরুর আগে চূড়ান্ত টিম মিটিংয়ে বদলে গেল সে চিন্তাও। লিটন না সৌম্য, সৌম্য না লিটন- অনেক চিন্তাভাবনা ও গবেষণার পর তিন নম্বরে টিকে গেলেন বাঁহাতি ড্যাশিং ব্যাটসম্যান সৌম্যই। রোববার ঠিক বেলা এগারোটার দিকে জাগোনিউজকে নিজে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু।
এর ঘণ্টা দেড়েক নান্নুই জানিয়েছিলেন, সৌম্য নয়, তামিম-ইমরুলের পর তিনে খেলবেন লিটন। তবে চূড়ান্ত টিম মিটিংয়ে আরও কয়েকবার ভাবনার পরে সৌম্যের বর্তমান ফর্ম ও বোলারদের আধিপত্য বিস্তার করে খেলার সামর্থ্যের কথা মাথায় রেখেই টিকিট দেয়া হয়েছে তাকে। তাই সিরিজের শুরুর ম্যাচে তামিম-ইমরুলের পর তিন নম্বরে দেখা যাবে সৌম্য সরকাকেই।
Advertisement
এছাড়া একাদশে ভাবনার জায়গা ছিলো কেবল একটিই। সেটি পেস বোলিং অলরাউন্ডার সাঈফউদ্দীন নাকি ডানহাতি গতিতারকা রুবেল হোসেন?- তা নিয়ে। সাত নম্বর পজিশনে বাড়তি ব্যাটসম্যান হিসেবে মোহাম্মদ মিঠুনকে খেলানোর কথা শোনা যাচ্ছে তাই শেষ মুহূর্তে রুবেলকেই বেছে নেয়া হয়েছে একাদশে। ব্যাট আর বল মিলে সাঈফউদ্দীন রুবেলের চেয়ে বেশি নম্বর পাবেন, কিন্তু শুধু বোলিং অপশনে রুবেল এগিয়ে। যেহেতু মিঠুনকে খেলানো হবে তাই সাঈফউদ্দীনের ব্যাটিংয়ের আর দরকার পড়বে না।
তার মানে প্রথম ম্যাচের একাদশ দাঁড়ায় : তামিম ইকবাল, ইমরুল কায়েস, সৌম্য সরকার, মুশফিকুর রহীম, সাকিব আল হাসান, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মোহাম্মদ মিঠুন, মেহেদি হাসান মিরাজ, মাশরাফি বিন মর্তুজা, মোস্তাফিজুর রহমান, রুবেল হোসেন।
এআরবি/এসএএস/পিআর
Advertisement