প্রথমে শোনা গেল তামিমের সঙ্গী ইমরুল, তিনে সৌম্য। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম দুই ম্যাচে না থাকা সৌম্য শেষ ম্যাচে সুযোগ পেয়েই সেঞ্চুরি করে একাদশে থাকার দাবীটা জোরালো করেছেন। তারপর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৭২ ঘণ্টা আগে বিকেএসপিতে প্রস্তুতি ম্যাচে সৌম্যর ব্যাট থেকে বেরিয়েছে দারুণ এক শতক।
Advertisement
সব মিলে মনে হচ্ছিলো তিন নম্বর পজিশনটি সৌম্যরই হবে। প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নুও দুদিন আগে সে আভাসই দিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ খবর ভিন্ন। যতটুকু জানা গিয়েছে, সৌম্যর বদলে তিন নম্বরে খেলতে যাচ্ছেন লিটন দাস। তামিম, ইমরুল, লিটনকে ওপরে রেখেই সাজানো হচ্ছে প্রথম ওয়ানডের দল।
বোঝা যাচ্ছে, সৌম্যর ধারাবাহিক ফর্মকে বিবেচনায় রাখলেও ডানহাতি-বাঁহাতি কম্বিনেশনের কথা ভেবেই হয়তো তামিম-ইমরুল দুই বাঁহাতির সাথে তিনে ডানহাতি লিটনকে খেলানোর চিন্তা। আজ রোববার সকালে নাশতার টেবিলে বসে জাগোনিউজের সাথে আলাপে তেমন কথাই জানালেন প্রধান নির্বাচক নান্নু।
তার কথা, ‘সৌম্য অবশ্যই ব্যাকআপ পারফর্মার হিসেবে বিবেচনায় রয়েছে। তবে আমরা দল সাজাতে গিয়ে একটা ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে চাচ্ছি। কি সেই ধারাবাহিকতা? যেমন তামিমের ইনজুরিজনিত অনুপস্থিতিতে উদ্বোধনী জুটি ছিল ইমরুল-লিটনের। সৌম্যকে আমরা লিটন-ইমরুলের ব্যাকআপ হিসেবে নিয়েছিলাম। এখানেও তাই। তামিম ফিরে এসেছে বাকি দুজন ইমরুল আর লিটন।’
Advertisement
এদিকে একাদশের গঠনশৈলীও মোটামুটি চূড়ান্ত। তিন পেসার আর সাকিবকে ধরে দুই স্পিনার থাকবেন মূল একাদশে। অবধারিতভাবেই দ্বিতীয় স্পিনার হলেন টেস্ট সিরিজে দুর্দান্ত বোলিং করা মেহেদি হাসান মিরাজ। অধিনায়ক মাশরাফি, সহ-অধিনায়ক সাকিব, উইকেটরক্ষক মুশফিক ও ‘পঞ্চপাণ্ডবে’র আরেক সদস্য মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও অটোমেটিক চয়েজ।
সাথে মোহাম্মদ মিঠুনকেও সাত নম্বরে খেলানোর কথা ভাবা হচ্ছে। তাকে ধরলে সংখ্যা দাঁড়ায় নয় (৯)। বাকি দুজনের একজন অবশ্যই বাঁহাতি পেসার মোস্তাফিজ। এগারো নম্বর সদস্য বা তৃতীয় পেসার কে? রুবেল নাকি সাঈফউদ্দীন? তা নিয়েই খানিক দ্বিধা। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজে ব্যাট ও বল হাতে ভালো খেলা সাঈফউদ্দীন আর ইনজুরি কাটিয়ে সম্পূর্ণ সুস্থ্য হয়ে দলে ফেরা রুবেল- দুজনই জোর দাবীদার।
যেহেতু বাড়তি ব্যাটসম্যান হিসেবে মিঠুনকে খেলানোর কথা শোনা যাচ্ছে তাই হয়তো শেষ মুহূর্তে রুবেলের খেলার সম্ভাবনাই বেশি। ব্যাট আর বল মিলে সাঈফউদ্দীন রুবেলের চেয়ে বেশি নম্বর পাবেন, কিন্তু শুধু বোলিং অপশনে রুবেল এগিয়ে। যেহেতু মিঠুনকে খেলানো হবে তাই সাঈফউদ্দীনের ব্যাটিংয়ের আর দরকার পড়বে না। সে বিবেচনায় রুবেলই হতে যাচ্ছেন থার্ড পেসার।
তার মানে সম্ভাব্য একাদশ হয় : তামিম ইকবাল, ইমরুল কায়েস, ইমরুল কায়েস, লিটন দাস, মুশফিকুর রহীম, সাকিব আল হাসান, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মোহাম্মদ মিঠুন, মেহেদি হাসান মিরাজ, মাশরাফি বিন মর্তুজা, মোস্তাফিজুর রহমান, রুবেল হোসেন।
Advertisement
এআরবি/এসএএস/পিআর