সিলেট বিভাগের ১৯ আসনের মধ্যে কোনো আসনই জামায়াতে ইসলামিকে দেয়নি বিএনপি। সিলেটের আসনগুলোর মধ্যে অন্তত দুটি আসন পেতে জোর দেনদরবারে ছিল নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন হারানো দলটি। কিন্তু ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন লড়াইয়ে আসা যুদ্ধপরাধে অভিযুক্ত জামায়াত নেতারা চেষ্টা তদবির করেও বাগাতে পারেননি সিলেটের কোনো আসন।
Advertisement
শুক্রবার পর্যন্ত ঐক্যফ্রন্টের মনোনয়ন দৌঁড়ে এগিয়ে ছিলেন সিলেট-৫ ও সিলেট-৬ আসনের দুই জামায়াত নেতা। তবে শেষ পর্যন্ত তাদেরকে চূড়ান্ত মনোনয়ন দেয়নি বিএনপি। সিলেট-৫ (কানাইঘাট-জকিগঞ্জ) আসনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শরিক দল জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুকে চূড়ান্ত মনোনয়ন দিয়েছে বিএনপি। এই আসনে মনোনয়ন পেতে এগিয়ে ছিলেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতা সাবেক এমপি মাওলানা ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী।
আর সিলেট-৬ (গোলাপগঞ্জ-বিয়ানীবাজার) আসনে জামায়াতের জেলা দক্ষিণের আমির মাওলানা হাবিবুর রহমান ঐক্যফ্রন্টের মনোনয়ন পেয়েছেন, শুক্রবার পর্যন্ত এমন খবরই ছিল। তবে শনিবার তা বদলে যায়। এই আসনও নিজেদের ঘরেই রেখেছে বিএনপি। সিলেট ৬ আসনে সিলেট জেলা ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ফয়সল আহমদ চৌধুরীকে দলীয় মনোনয়ন দিয়েছে দলটি।
প্রসঙ্গত, মনোনয়ন পাওয়ার লড়াইয়ে থাকা জামায়াতের এই দুই নেতার বিরুদ্ধেই আছে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ। জামায়াতে ইসলামির এই দুই নেতাকে মনোনয়ন না দিতে এ দুই আসনের বিএনপিদলীয় স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা সিলেটে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। তারা দলের প্রার্থীর জন্য কেন্দ্র বরাবর আবেদনও করেছিলেন।
Advertisement
মূলত এই দুই আসন ছাড়া সিলেটের আর কোথাও মনোনয়ন দৌড়ে জামায়াতের কারো এগিয়ে থাকার অবস্থা ছিল না। এগুলোও হাতছাড়া হওয়ায় পুরো সিলেট বিভাগেই আর ধানের শীষ নিয়ে জামায়াতের কোনো প্রার্থী থাকল না। তবে জামায়াতের প্রার্থীরা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করবেন কি-না সেটাই এখন দেখার বিষয়।
এ বিষয়ে জামায়াত নেতা মাওলানা হাবিবুর রহমান বলেন, আমাদের এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি। বিভিন্ন গণমাধ্যমে দেখছি আমার আসনে ফয়সল চৌধুরীকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। আমরা বিএনপিকে বলে দিয়েছি, যদি জামায়াতের প্রয়োজন না থাকে তাহলে আমাদের যেনে একটি আসনও না দেয়া হয়। এখন তারাই আমাদের জোরাজুরি করছেন। দেখা যাক কী হয়।
ছামির মাহমুদ/এফএ/পিআর
Advertisement