রাজনীতি

আব্বাস দম্পতির প্রার্থিতা বৈধ

ঢাকা-৮ আসন থেকে বিএনপির প্রার্থী ও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের মনোনয়ন বৈধ বলে ঘোষণা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। একই সঙ্গে ঢাকা-৯ আসনে মির্জা আব্বাসের স্ত্রী আফরোজা আব্বাসের প্রার্থিতাও বৈধ বলে ঘোষণা করে কমিশন।

Advertisement

শনিবার (৮ ডিসেম্বর) ইসির অস্থায়ী এজলাসে ওয়ার্কার্স পার্টির রাশেদ খান মেননের করা আপিল (৪৪৪ নম্বর) শুনানি শেষে মির্জা আব্বাসের মনোনয়ন বহালের আদেশ দেয় কমিশন। এর পরপরই আব্বাসপত্নীর প্রার্থিতা বৈধ বলে ঘোষণা করা হয়।

গত ২ ডিসেম্বর ঢাকা-৮ আসন থেকে মির্জা আব্বাসের প্রার্থিতা বহাল রাখেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। কিন্তু বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির রাশেদ খান মেনন মির্জা আব্বাসের প্রার্থিতা বহালের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে আপিল করেন।

একই দিন (২ ডিসেম্বর) ঋণখেলাপি-সংক্রান্ত কাগজপত্র জমা না দেয়ায় আফরোজা আব্বাসের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেন ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার কে এম আলী আজম। স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক ও বাংলাদেশ টেলিকমের কাছ থেকে আফরোজা আব্বাসের ঋণখেলাপি থাকার কথা সেসময় জানান তিনি।

Advertisement

প্রসঙ্গত, মনোনয়নপত্র বাছাইয়ে রিটার্নিং অফিসারদের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিল আবেদনের শুনানির তৃতীয় দিন চলছে। আজ শুনানির শেষদিনও।

আপিল শুনানির প্রথম দিনে ক্রমিক নম্বর অনুযায়ী ১ থেকে ১৬০, দ্বিতীয় দিন ৭ ডিসেম্বর ১৬১ থেকে ৩১০ নম্বর প্রার্থীর আবেদনের ওপর শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।

শুনানির শেষদিন আজ (৮ ডিসেম্বর) ৩১১ ক্রমিক নম্বর থেকে ৫৪৩ পর্যন্ত আবেদনের আপিল শুনানি হয়।

প্রতিটি আবেদনের শুনানি শেষে সঙ্গে সঙ্গে রায় জানিয়ে দেয়া হচ্ছে। সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি যদি উচ্চ আদালতে কমিশনের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করতে চান, তাহলে তাকে রায়ের নকল কপিও সরবরাহ করা হচ্ছে।

Advertisement

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) মোট ৫৪৩ প্রার্থী আপিল করেন। গত বৃহস্পতিবার (৬ ডিসেম্বর) থেকে শুরু হয় আপিল শুনানি।

প্রার্থীদের আপিল শুনানি নিষ্পত্তি করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা, নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, মো. রফিকুল ইসলাম, বেগম কবিতা খানম ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী।

গত ২৮ নভেরের মধ্যে তিন হাজার ৬৫ প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমাদেন। বাছাইয়ে বাদ পড়ে ৭৮৬টি, বৈধ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দুই হাজার ২৭৯টি।

পুনঃতফসিল অনুযায়ী, আগামী ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ৯ ডিসেম্বর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময়। ১০ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ দেয়ার পর থেকে প্রার্থী ও তার সমর্থকরা নির্বাচনী এলাকায় প্রচার-প্রচারণা চালাতে পারবেন।

জেইউ/এমএআর/এমকেএইচ