বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার জন্য সবার আগে দরকার মানসিক স্থিতি ও শান্তি। বিয়ের পর যেহেতু জীবনে একটা বড় পরিবর্তন আসে, তাই অনেকেই বাড়তি মানসিক চাপে ভুগতে শুরু করেন। বিয়ের আগের দিনগুলোয় মানসিক চাপ যদি আপনার নিত্যসঙ্গী হয়ে ওঠে, তাহলে সেই দুশ্চিন্তায় অন্যসব আনন্দ উবে যেতে শুরু করবে। বিয়ে পাকা হওয়ার পর তাই আপনার প্রথম কাজ যথাসম্ভব চাপমুক্ত থাকার চেষ্টা করা।
Advertisement
আরও পড়ুন: এক হেলমেট একাধিক জন পরলে কী হয়?
কোনো বিষয় নিয়ে সংশয় থাকলে হবু স্বামীর সঙ্গে সরাসরি কথা বলে নিলে মন অনেকটাই হালকা হবে। আজকাল অনেকেই চাপমুক্ত থাকতে বিয়ের আগে প্রি-ম্যারিটাল কাউন্সেলিং করাচ্ছেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বিবাহিত জীবনে দুজন মানুষের মধ্যে যেসব সমস্যা দেখা যায়, তার অনেকটাই আসে ভুল প্রত্যাশা থেকে। প্রিম্যারিটাল কাউন্সেলিংয়ের সাহায্যে এই বিষয়গুলোর মোকাবিলা করা যায়। শুধু মনের মিলই নয়, শরীর সংক্রান্ত নানা বিষয়ও, আলোচনায় উঠে আসে। কাজেই প্রয়োজন মনে করলে প্রাক-বৈবাহিক কাউন্সেলিং করতে পারেন।
বিয়ে নিয়ে চিন্তা করে অন্যান্য কাজে অবহেলা করবেন না যেন। নিজের কাজে মন দিন, বন্ধুদের সঙ্গে অবসর সময় কাটান। আপনি যদি চাকরিরতা হন, তাহলে আপনার নিজেকে ব্যস্ত রাখা সহজ হবে। যারা চাকরি করেন না, তারাও নিজেকে ব্যস্ত রাখার উপায় খুঁজে নিন। গান শুনুন, বাগান করুন- দেখবেন, মন হালকা লাগছে।
Advertisement
আরও পড়ুন: প্রিয়জন ঠকাচ্ছে কি না বুঝবেন কিভাবে?
মনস্তত্ত্ববিদের পরামর্শ নেওয়ার পাশাপাশি অনেকেই ভরসা রাখেন ভেষজের উপর। এব্যাপারে সবার আগে উল্লেখ করতে হয় অ্যারোমাথেরাপির। এমন কিছু সুগন্ধি রয়েছে যা স্নায়ুর জট ছাড়িয়ে শরীর মন হালকা করে তোলে। বৈজ্ঞানিক গবেষণায় দেখা গেছে অ্যারোমাথেরাপির সাহায্যে স্ট্রেস অনেকটাই কমানো সম্ভব। সুগন্ধি পারফিউম মাখুন, অ্যারোমা অয়েল ডিফিউজার বা সেন্টেড ক্যান্ডল রাখুন ঘরে। দেখবেন অহেতুক দুশ্চিন্তা আর নেই!
এইচএন/এমএস
Advertisement