বিনোদন

‘আব্বা মারা যাওয়ার পর কেউ আমাদের খোঁজ নেননি’

‘আব্বা একজন ভালো মানের অভিনেতা ছিলেন। তার চলে যাওয়ার চার বছর পার হয়ে গেল। তার মৃত্যুর পরে চলচ্চিত্রে কোনো সংগঠন কখনই আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেননি। আব্বা মারা যাওয়ার পর কেউ আমাদের খোঁজ নেননি। আমরা কেমন আছি ? চলচ্চিত্র জগতের কেউ তেমন জানতে চাননি।’ কথাগুলো বলছিলেন ঢাকাই সিনেমার এক সময়ের দাপুটে অভিনেতা খলিল উল্লাহ খানের বড় ছেলে মুসা।

Advertisement

আজ কিংবদন্তি এই অভিনেতার চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী। ২০১৪ সালের ৭ ডিসেম্বর না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছিলেন খলিল উল্লাহ। গুনি এই অভিনেতার পরিবারের খোঁজ নিতেই তার ছেলের সঙ্গে যোগাযোগ করে জাগো নিউজ।

শুক্রবার দুপুরে কথা হয় খলিল উল্লাহ খানের বড় ছেলে মুসার সঙ্গে। তার কণ্ঠ থেকে ঝরে পড়ছিল অভিমান। তিনি বললেন,‘আব্বা ভালো অভিনেতা ছিলেন। শিল্প সমিতির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। আমরা ভেবেছিলাম কেউ খোঁজ না নিলেও শিল্পী সমিতি মাঝে মধ্যে আমাদের খোঁজ রাখবে। কিন্তু কেউ কখনই খোঁজ রাখেননি। এতে আমাদের কোনো রাগ দুঃখ নেই। আমার বাবা একজন শিল্পী ছিলেন এটা নিয়ে আমরা গর্ব করি। সবাই আমারা বাবার জন্য দোয়া করবেন তিনি যেনো ওপারে অনেক অনেক ভালো থাকেন।’

মূসা আরও বলেন,‘শিল্পী সমিতির কাছে অনেক কিছু আশা না করলেও একটা জিনিস আশা করি, তার মৃত্যুদিনে তাকে স্বরণ করা। তারা এটা করেন কি না আমি জানি না।আব্বার মৃত্যু পর চার পছর পার হয়ে গেল। শিল্পী সমিতিও আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেননি। তারাও কী বাবাকে ভুলে গেছেন ?’

Advertisement

পরে গুনি এই অভিনেতার পরিবারের খবর জানতে চাইলে মুসা বলেন,‘আমার মা বেঁচে আছেন তার ৭৬ বছর বয়স। আমার একটা ছোট ভাই আছে। আমরা আমাদের মতো আছি।’

মূসার জানালেন, নূরজাহান রোডে অভিনেতা খলিল উল্লাহ খান বাসায় থাকতেন এখানেই পাশের মসজিদে শুক্রবার বাদ আসর পারিবারিক ভাবে মিলাদের আয়োজন করা হচ্ছে।

এদিকে শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ বললেন, ‘আজ শুক্রবার তাই আগামীকাল শনিবার আমরা শিল্পী সমিতিতে তার উদ্দেশ্যে দোয়ার মাহফিলের আয়োজন করছি। দুই দুই বার তিনি আমাদের শিল্পী সমিতির সভাপতি ছিলেন তিনি।’

১৯৩৪ সালের ১ ফেব্রুয়ারি সিলেটের কুমারপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন খলিল উল্লাহ খান। পাঁচ দশকেরও বেশি সময় ধরে প্রায় আটশ’ সিনেমাতে অভিনয় করেছেন খলিল।

Advertisement

তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে- ‘ভাওয়াল সন্ন্যাসী’, ‘ক্যায়সে কঁহু’, ‘জংলি ফুল’, ‘আগুন’, ‘পাগলা রাজা’, ‘মিন্টু আমার নাম’, ‘ওয়াদা’, ‘বিনি সুতার মালা’, ‘বউ কথা কও’, ‘কাজল’ ইত্যাদি। নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা সিনেমায় মীরজাফরের চরিত্রে অনবদ্য অভিনয় করে দর্শকের কাছে প্রশংসিত হয়েছিলেন তিনি।

এমএবি/এমকেএইচ