জাতীয়

ছাত্রীরা পরীক্ষায় বসলেও বিক্ষোভে অভিভাবকরা

টানা তিনদিন আন্দোলনের পর আজ শুক্রবার থেকে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। গত ৫ ডিসেম্বরের স্থগিত হওয়া ৯ম ও ৭ম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষা আজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে সন্তানদের পরীক্ষার হলে দিয়ে গেটের বাইরে গভর্নিং বডির সদস্যদের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন অভিভাবকরা।

Advertisement

বেইলি রোডের ভিকারুনসিনার মূল ক্যাম্পাসে বার্ষিক পরীক্ষা দিতে সকাল ১১টা থেকে প্রবেশ করতে শুরু করে ৭ম ও ৯ম শ্রেণির পরীক্ষার্থীরা। দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে এ পরীক্ষা শুরু হয়। বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সিনিয়র শিক্ষক মুসতারি সুলতানা জাগো নিউজকে বলেন, গত ৫ ডিসেম্বর স্থগিত হওয়া বাংলা ও ইংরেজি ভার্সনের ৯ম শ্রেণির বায়োলজি ও ৭ম শ্রেণির বিজ্ঞান পরীক্ষা শুরু হয়েছে। বার্ষিক এ পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের শতভাগ উপস্থিতি হয়েছে। এছাড়া বসুন্ধরা, ধানমন্ডি ও আজিমপুর শাখায় ৬ষ্ঠ থেকে ৯ম শ্রেণির পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

তিনি বলেন, শনিবার একই সময়ে বাংলা-ইংরেজি ভার্সনের ৯ম শ্রেণির উচ্চতর গণিত ও ৭ম শ্রেণির ব্জ্ঞিান বিষয়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। অন্যান্য শাখাগুলোতেও একই সময়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। গত ৬ ডিসেম্বরের স্থগিত হওয়া পরীক্ষা আগামী ১১ ডিসেম্বর আয়োজনের মাধ্যমে ২০১৮ সালের সকল বার্ষিক পরীক্ষা শেষ হবে।

Advertisement

প্রভাতী শাখার শিক্ষিকা হাসনা হেনাকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে শিক্ষকদের কোনো প্রতিবাদ কর্মসূচি রয়েছে কি না -জানতে চাইলে মুসতারি সুলতানা বলেন, বিষয়টি এখন আইনি প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে। আইনিভাবেই এটি ফয়সালা করা হবে। তাই এ বিষয়ে শিক্ষকদের কোনো ধরনের আন্দোলন বা প্রতিবাদ করার সিদ্ধান্ত নেই।

নির্ধারিত সময়ে পরীক্ষার হলে সন্তানকে নিয়ে আসলেও চরম ক্ষোভ প্রকাশ ও বিক্ষোভ করেন অভিভাবকরা। বর্তমান কমিটির সকল সদস্যদের পদত্যাগের দাবি করেন তারা।

অভিভাবকরা বলেন, আমরা অযোগ্য গভর্নিং বডির সদস্যদের থাকতে দেব না। তাদের কারণে এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সুনাম নষ্ট হচ্ছে। ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থী অরিত্রি অধিকারীকে আত্মহত্যায় প্ররোচণাকারী শিক্ষক ও কমিটির সদস্যরা। আমরা তাদের পদত্যাগ দাবি করেন। গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান গোলাম আশরাফ তালুকদার শুক্রবার জাগো নিউজকে বলেন, গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান ছাড়া সকল সদস্যই নির্বাচিত। তাদের পদত্যগের প্রস্তাবটি পরবর্তী সভায় তোলা হবে। সেই প্রস্তাবে কেউ রাজি থাকলে পদত্যাগ করতে পারেন।

তিনি আরও বলেন, গভর্নিং বডির সদস্যরা পদত্যাগ করলেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে এটি অভিভাবকরা নিশ্চিত করতে পারবেন না। বরং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেন সুশাসন প্রতিষ্ঠান হয় -সেটি দাবি করা উচিত। তারপরও আমদের পরবর্তী সভায় কমিটির সদস্যদের পদত্যাগের বিষয়টি তোলা হবে।

Advertisement

এমএইচএম/আরএস/এমএস