দেশজুড়ে

মন্ত্রীর জামাতাকে গুলি, জেলে থাকা ৩ জনকে গ্রেফতার দেখাল পুলিশ

খুলনা মহানগরীতে মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দের জামাতা প্রভাস কুমার দত্তকে (৫০) গুলি করে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় সন্দেহভাজন তিনজনকে গ্রেফতার দেখিয়েছে পুলিশ।

Advertisement

পুলিশের গ্রেফতার দোখানোর এ আবেদন বৃহস্পতিবার মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক মো. আতিকুস সামাদ মঞ্জুর করেছেন। গত ৩ ডিসেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মো. শহীদুল ইসলাম আদালতে এ আবেদন করেন।

গ্রেফতার দেখানো তিনজন হলেন, কারাগারে থাকা খানজাহান আলী থানাধীন শিরোমনি পশ্চিমপাড়া এলাকার মৃত আব্দুর রশিদের ছেলে শেখ শাহাবুদ্দিন ওরফে সিহাব (৪৫), একই এলাকার মৃত শেখ মহসিনের ছেলে শেখ হুমায়ুন কবির (৩৫) ও শিরোমনি দক্ষিণপাড়ার মিয়া আব্দুল হামিদের ছেলে মিয়া গোলাম খায়ের (৫০)।

জানা গেছে, গত ২১ সেপ্টেম্বর থেকে বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় কারাগারে থাকা মিয়া গোলাম খায়ের ও শেখ হুমায়ুন কবিরকে এবং একই থানার একই আইনে গত ৪ অক্টোবর দায়ের হওয়া মামলায় গ্রেফতার হওয়া শেখ শাহাবুদ্দিন ওরফে সিহাবকে সন্দেহভাজন আসামি করে ২ ডিসেম্বর আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ। পরে মহানগর হাকিম তরিকুল ইসলাম তাদেরকে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন। সেই থেকে তারা খুলনা জেলা কারাগারে রয়েছেন।

Advertisement

তবে একাধিক সূত্র জানিয়েছে, নারী ও সম্পদের ভাগবাটোয়ারা এবং পারিবারিক দ্বন্দ্বকে কেন্দ্র করে প্রভাসের উপর এই হামলার ঘটনা ঘটতে পারে। প্রায় দেড় বছর আগে মন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দের মেয়ে জয়ন্তী চন্দ্র বেবী অর্থ লেনদেন সংক্রান্ত বিষয়কে কেন্দ্র করে আত্মহত্যা করেন। তার দুটি সন্তান রয়েছে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই শহিদুল ইসলাম বলেন, শুনেছি প্রভাসের বিয়ের কথা চলছে। বিষয়টি অন্য রকমও হতে পারে।

তবে প্রভাসের বিয়ের বিষয়টি একেবারে উড়িয়ে দিয়ে শ্বশুর মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ বলেন, আমার জামাতা আবার বিয়ে করতে চাইছে, আমি এ ধরনের কোনো কথাই শুনিনি। কেউ ঘটনাটি রসালো করার জন্য এ ধরনের ঘটনা রটাতে পারে। উল্লেখ্য, গত ৩০ নভেম্বর রাত ১০টার দিকে প্রভাস কুমারকে তার নিজ বাসায় ঢুকে গুলি করে পালিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। এতে পেটে গুলি লেগে গুরুতর আহত হন প্রভাস। তিনি বাংলাদেশ ব্যাংক খুলনা শাখার ডিজিএম হিসেবে কর্মরত। এ ঘটনায় গত ১ ডিসেম্বর প্রভাস নিজে বাদী হয়ে সোনাডাঙ্গা মডেল থানায় অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

আলমগীর হান্নান/এফএ/এমএস

Advertisement