নরওয়ে প্রবাসী বাংলাদেশি ড. মো. নুরুল ইসলাম শেখকে কেন এবং কীভাবে মাদকের (ইয়াবা) মামলায় আসামি করা হয়েছে গাজীপুরের পুলিশ সুপারের (এসপি) কাছে তার ব্যাখ্যা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী ১২ ডিসেম্বর হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চে এই ব্যাখ্যা দাখিল করার জন্য বলা হয়েছে।
Advertisement
একইসঙ্গে, এ ঘটনা তদন্ত করার জন্য একটি কমিটি গঠন করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। একইসঙ্গে ড. মো. নুরুল ইসলাম শেখকে চার সপ্তাহের জামিন দিয়েছেন আদালত।
ভুক্তভোগাী ড. মো. নুরুল ইসলাম শেখকে জামিন দিয়ে বুধবার এসপির প্রতি এই নির্দেশ দেন হাইকোর্টের বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ।
আদালতে আজ ড. মো. নুরুল ইসলাম শেখের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. আবদুল কুদ্দুস বাদল ও আকিদুল হাকীম সরকার।
Advertisement
আদেশের পর অ্যাডভোকেট মো. আবদুল কুদ্দুস বাদল সাংবাদিকদের জানান, গত ২৯ নভেম্বর জয়দেবপুর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করে পুলিশ। মামলায় ১০ পিস ইয়াবাসহ এক আসামিকে আটক দেখানো হয়। আর আটক ব্যক্তির তথ্যের ভিত্তিতে গত ২৯ নভেম্বর রাজেন্দ্রপুরের ড. মো. নুরুল ইসলাম শেখের বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ।
তবে, পুলিশ তাকে গ্রেফতার করতে পারেনি। এ অবস্থায় ড. মো. নুরুল ইসলাম শেখ হাইকোর্টে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন।
অ্যাডভোকেট মো. আবদুল কুদ্দুস বাদল আরও বলেন, নুরুল ইসলাম শেখ ব্রিটিশ কাউন্সিল থেকে বৃত্তি নিয়ে ইংল্যান্ডে যান। সেখানে তিনি ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জনের পর নরওয়ের একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা পেশায় যোগ দেন। সেখানে থাকাবস্থায় সম্প্রতি নিজ এলাকা রাজেন্দ্রপুরে ‘নরওয়ে-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতাল’ প্রতিষ্ঠা করেন। এ কারণে তিনি নরওয়ে-বাংলাদেশে আসা-যাওয়া করেন। কিন্তু পুলিশ তার বিরুদ্ধে মাদকের মামলা করেন।
এফএইচ/জেডএ/আরআইপি
Advertisement