আইন-আদালত

অর্থ আত্মসাত : চার কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা চলবে

ঋণ কেলেঙ্কারি, অর্থ পাচার ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে সোনালী ব্যাংকের চার কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা বাতিলের বিষয়ে জারি করা রুল খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। ফলে বিচারিক আদালতে মামলাটি চলতে আইনগত কোনো বাধা থাকছে না বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট আইনজীবীরা।

Advertisement

এর আগে মামলা বাতিল চেয়ে চার কর্মকর্তার করা ফৌজদারি রিভিশন আবেদনের শুনানি নিয়ে মামলা কেন বাতিল করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিল আদালত। সেই রুল খারিজের পাশাপাশি মামলাটির কার্যক্রমে যে স্থগিতাদেশ দিয়েছিলেন আদালত, তাও তুলে নেয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে রাষ্ট্র পক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল হেলেনা বেগম চায়না। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ফৌজিয়া আখতার পপি। আর আসামিপক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ওজি উল্লাহ।

Advertisement

আদেশের পর আমিন উদ্দিন মানিক বলেন, ‘মামলা বাতিল প্রশ্নে জারি করা রুল খারিজ করে দেয়ার পাশাপাশি এ মামলার ওপর যে স্থগিতাদেশ দিয়েছিল তা তুলে নেয়া হয়েছে। এবং বিচারিক আদালতকে মামলাটি ছয় মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে বলা হয়েছে।’

দুই বছর আগে সোনালী ব্যাংকের নোয়াখালী শাখা থেকে সেসার্স ডলফিন সি ফুড ইন্ডাস্ট্রিজের সত্বাধিকারী নিজাম উদ্দিন ফারুককে ১ কোটি ৯৭ লাখ ১৬ হাজার ৭০০ টাকা ঋণ দিয়ে যোগসাজশে এ টাকা আত্মসাৎ ও পাচার করা হয়। পরে ঋণ কেলেঙ্কারি, অর্থ পাচার ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ এনে ২০১৬ সালের ১৭ এপ্রিল সোনালী ব্যাংক নোয়াখালী শাখার ঋণ বিভাগের ইনচার্জ মোস্তফা কামাল সুধারাম থানায় মামলা করেন।

ঋণ গ্রহিতা নিজাম উদ্দিন ফারুকসহ এ মামলায় আসামি করা হয় বর্তমানে সোনালী ব্যাংক নোয়াখালীর চরবাটা শাখার সিনিয়র অফিসার জাকের উল্লাহ, ফেনী সিলোনিয়া শাখার ক্যাশ কর্মকর্তা এম রহমান, কিশোরগঞ্জ প্রিন্সিপাল ব্রাঞ্চের ডিজিএম মীর আবদুল লতিফ ও সোনালী ব্যাংকের একজন সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার থেকে অবসরে যাওয়া আব্দুল আল মামুনকে। দুদকের উপপরিচালক মো. মশিয়ুর রহমান ওই বছরের ২৩ অক্টোবর এ চার কর্মকর্তাসহ ৭ জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। পরে চলতি বছরের ৮ জুলাই নোয়াখালী বিশেষ জজ আদালতে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ দেয়। এ আদেশের বিরুদ্ধে মামলা বাতিল চেয়ে গত ১২ আগস্ট হাইকোর্টে রিভিশন আবেদন করেন এ চার কর্মকর্তা।

এরপর ১৪ আগস্ট হাইকোর্ট মামলাটি কেন বাতিল হবে না, জানতে চেয়ে রুল জারি করার পাশাপাশি কার্যক্রমও স্থগিত করেন। সেই স্থগিতাদেশ তুলে নেয়ার পাশাপাশি রুল খারিজ করে আদেশ দেন আদালত।

Advertisement

এফএইচ/এনডিএস/পিআর