জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে ‘সাম্প্রদায়িক শক্তি’ আখ্যা দিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘এ অপশক্তি নিবাচনেও আঘাত হানতে পারে। তারা কেন্দ্র পাহারা দেয়ার কথা বলছে, আমরাই (আওয়ামী লীগ) কেন্দ্র রক্ষা করব।’
Advertisement
বৃহস্পতিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের যৌথ সভায় এ সব কথা বলেন তিনি।
কাদের বলেন, ‘যারা আন্দোলনে বিজয়ী হতে পারে না, তারা নির্বাচনে বিজয়ী হতে পারে না। বিএনপির নির্বাচনে জেতার স্বপ্ন, দুঃস্বপ্নে পরিণত হবে। তাদের এমন কোনো কাজ নেই, যার জন্য দেশের মানুষ তাদের ভোট দেবে। তারা যতো আস্ফালন করবে, ততোই পতন হবে।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপি ক্ষমতায় আসলে দেশের চলমান উন্নয়ন বন্ধ হয়ে যাবে। পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, কর্ণফুলী টার্নেলসহ মেগা প্রজেক্টের কাজ বন্ধ হয়ে যাবে। দেশ পিছিয়ে পড়বে। পশ্চাৎগামীতায় ফিরে যাবে। আমরা কি আবারও অন্ধকারের অচলায়তনের বাংলাদেশে ফিরে যাব। অসমাপ্ত কাজগুলো শেষ করতে আবারও ক্ষমতায় শেখ হাসিনার সরকার দরকার।’
Advertisement
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন ও কাদের সিদ্দিকীর মতো মুক্তিযোদ্ধরাও আজ জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষক বিএনপির সঙ্গে হাত মিলিয়েছে। এ দেশে দু’টি ধারা; একটি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও স্বাধীনতার পক্ষের ধারা। অন্যটি স্বাধীন ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী ধারা। কামাল হোসেনদের কোনো ধারা নেই। তাদের সব ধারাই এখন সাম্প্রদায়িক শক্তিতে পরিণতি হয়েছে।’
কামাল হোসেনদের কঠোর সমালোচনা করে কাদের বলেন, ‘কামাল হোসেনের নিজেস্ব কোনো সত্তা নেই। তারেক রহমানের নির্দেশে কামাল হোসেনরা কথা বলছেন। কামাল ও কাদের সিদ্দিকী খুনি ও দণ্ডিতদের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন।’
নির্বাচন এলেই দেশে মনোনয়ন বাণিজ্য হয় মন্তব্য করে কাদের বলেন, ‘প্রার্থী দেয়ার ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের কোনো মনোনয়ন বাণিজ্য হয়নি, এটা স্বস্তির। শেখ হাসিনা মনোনয়নের যে কৌশল অবলম্বন করেছেন তাতে লেনদেনের কোনো ফাঁকফোঁকর ছিল না। ঐক্যফ্রন্টে, বিএনপিতে মনোনয়ন বাণিজ্যের রমরমা কারবার। টাকা ছাড়া বিএনপিতে মনোনয়ন কল্পনাও করা যায় না। মনোনয়ন বাণিজ্যের পর বিএনপির অনেক নেতা পালিয়েছে।’
আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়াদের বেশিরভাগই রাজনীতিবিদ দাবি করে তিনি বলেন, ‘তরুণ মুখ প্রায় ৫০ এর কাছাকাছি। আর ব্যবসায়ী রয়েছেন প্রায় ১৬ জন। এবারের নমিনেশন দেয়ার ক্ষেত্রে দেশি-বিদেশি জরিপকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। মনোনয়ন নিয়ে শরিকদের সঙ্গেও বোঝাপড়া হয়েছে। এ নিয়ে শরিকদের সঙ্গে কোনো টানাপোড়েন নেই।’
Advertisement
কাদের আরও বলেন, ‘মনোনয়ন নিয়ে কিছু কিছু জায়গায় ক্ষোভ-বিক্ষোভ হতে পারে। তবে দলের স্বার্থে বিষয়টি নেতাকর্মীরা মেনে নেবেন। কারণ এবার জয়ের কোনো বিকল্প নেই। আজকালের মধ্যে জোটের প্রার্থিতা চূড়ান্ত ঘোষণা করা হবে। জোটের স্বার্থেই আওয়ামী লীগের অনেক যোগ্য প্রার্থীকেও মনোনয়ন দেয়া হয়নি। ক্ষমতায় এলে তাদের এ ত্যাগের মূল্যায়ন করা হবে।’
আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোল্লা মো. আবু কাওছারের সভাপতিত্বে যৌথ সভা সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক পংকজ দেব নাথ।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, দক্ষিণ সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আরিফুর রহমান টিটু প্রমুখ।
এইউএ/এনডিএস/আরআইপি